[metaslider id="6053"]

কুলটি কারখানায় ১৭ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, উৎপাদন বন্ধ

কুলটি থেকে সত্যেন্দ্র যাদবের প্রতিবেদন: সোমবার সকালে সেল গ্রোথ ওয়ার্কস কুলটি এবং সেল রাইটস বেঙ্গল ওয়াগন ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান ফটকের সামনে ১৭ দফা দাবিতে শ্রমিকদের যৌথ আন্দোলন সংগঠনের ব্যানারে তীব্র ধর্না-প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই ধর্নার কারণে কোনও সরকারি কর্মী এবং চুক্তিভিত্তিক শ্রমিককে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আন্দোলনের জেরে কারখানার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এবং বাইরে মালবাহী গাড়ির দীর্ঘ লাইন তৈরি হওয়ায় টাউনশিপ এলাকায় তীব্র বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

বিনোদ সিং-এর প্রতিক্রিয়া: সেল গ্রোথ ওয়ার্কস কুলটির শ্রমিক এবং সিআইটিইউ নেতা বিনোদ সিং অভিযোগ করেন যে আসানসোলের কেন্দ্রীয় শ্রম কমিশনারের আদেশ সত্ত্বেও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়নি। এএসপি এবং ডিএসপি-তে যে বেতন দেওয়া হয়, তার তুলনায় এখানকার চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা কম বেতন পাচ্ছেন। এছাড়া নতুন কন্ট্রাক্টর আসার ফলে পুরানো শ্রমিকদের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা শ্রমিকদের জীবনযাত্রায় বিপর্যয় ডেকে আনছে।

ইমতিয়াজ খানের বক্তব্য: INTUC-এর অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক নেতা ইমতিয়াজ খান বলেন, “কুলটি কারখানায় কর্মরত চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের নিরাপত্তা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের মনোনীত বেতন এবং সুবিধা চাইলেই আমাদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি কোনও অভিযোগ করলে কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয় না।” তিনি আরও বলেন, “চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের জন্য পদোন্নতির কোনও ব্যবস্থা নেই, যা সরাসরি শ্রমিকদের শোষণ করছে।”

উৎপল ঘোষের ক্ষোভ: বি এম এস-এর প্রতিনিধি উৎপল ঘোষের কথায়, “এখানকার শ্রমিকদের জন্য বিডিএ সুবিধারও কোনও ব্যবস্থা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যান্য স্টিল প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে কুলটি কারখানায় শ্রমিকদের সবচেয়ে বেশি শোষণ করা হয়। শ্রমিকদের কোনো অভিযোগ জানালেই মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এখানে শোষণের প্রক্রিয়া ক্রমাগত চলছে।”

ghanty

Leave a comment