কুলটি।
স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কুলটি ট্রাফিক পুলিশ শুক্রবার একটি বিশেষ অভিযান চালায়। হাওড়ায় সাম্প্রতিক স্কুলবাস দুর্ঘটনার পর আসানসোল–দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে কুলটি ট্রাফিক গার্ড সতর্ক হয়েছে এবং শহরের প্রতিটি স্কুলগাড়ির নথিপত্র বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা শুরু করেছে।
সকাল থেকে কুলটির বিভিন্ন স্কুলের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করানো হয় স্কুলবাস ও ভ্যান। ট্রাফিক পুলিশ একে একে পরীক্ষা করে—
- গাড়ির রেজিস্ট্রেশন
- ফিটনেস সার্টিফিকেট
- ইন্স্যুরেন্স
- ড্রাইভারের লাইসেন্স
- দূষণ নিয়ন্ত্রণ শংসাপত্র
- এবং সিট ক্যাপাসিটি অনুযায়ী ছাত্রছাত্রী বহনের নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে কি না
তদন্তে পুলিশের নজরে আসে কিছু স্কুলগাড়িতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ছাত্রছাত্রী তোলা হচ্ছে, যেগুলির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
কুলটি ট্রাফিক গার্ড ইনচার্জ চিন্ময় মণ্ডল জানান—
“স্কুলের শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো রকম শৈথিল্য বরদাস্ত করা হবে না। সকল গাড়িমালিককে সম্পূর্ণ নথিপত্রসহ ট্রাফিক গার্ড অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন যে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বাসগুলির ফিটনেস, রুট পারমিট, ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়মিত পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে—
আগামী দুই মাসের মধ্যে সব ড্রাইভার এবং গাড়িমালিককে তাদের নথিপত্র সম্পূর্ণভাবে আপডেট করতে হবে।
নিয়ম না মানলে ভারী জরিমানা, এমনকি গাড়ি আটক করার মতো কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
এমন নজিরবিহীন অভিযান দেখে অভিভাবকদের বড় অংশ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাগুলির পর শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে শহরজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। কুলটি ট্রাফিক পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্থানীয়রা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে মনে করছেন।












