আসানসোল পৌরনিগমের ওয়ার্ড নম্বর ৭৩-এর আলডিহ বাউরী পাড়া এলাকা থেকে শনিবার ভোরবেলা এক রোমহর্ষক ঘটনা সামনে এসেছে। এক ঘরের ভেতর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত ও রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে নিয়ামতপুর থানার পুলিশ।
💀 স্বামীর ঝুলন্ত দেহ, স্ত্রীর রক্তে ভেজা লাশ! এলাকা স্তব্ধ!
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, মৃতদের নাম রবি বাউরী ও মালা বাউরী। তাদের চারটি কন্যা সন্তান রয়েছে, যার মধ্যে বড় মেয়ে বিবাহিত, আর বাকি তিন মেয়ে মা-বাবার সঙ্গে বাড়িতেই থাকত।

শনিবার সকালে যখন প্রতিবেশীরা তাদের বাড়ি থেকে কোনো সাড়া শব্দ পাননি, তখন দরজা ধাক্কান। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় সন্দেহ বাড়ে। পরে দরজা ভেঙে যা দেখা গেল, তা শিউরে ওঠার মতো—
🔴 স্বামী রবি বাউরীকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়
🔴 স্ত্রী মালা বাউরীর গলা কাটা রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে ছিল
💰 সুদের চাপে বিপর্যস্ত পরিবার, শেষমেশ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত!
স্থানীয়দের দাবি, সুদখোরদের চাপ সহ্য করতে না পেরে এই দম্পতি চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের বাড়িতে প্রায়ই টাকা চাইতে নানা মানুষ আসত, যা প্রমাণ করে যে তারা অনেক জায়গা থেকে ধার নিয়েছিলেন এবং তা শোধ করতে পারছিলেন না। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত।
কিন্তু এতটা ভয়াবহ পরিণতি হবে, তা কেউ ভাবেননি!

👧 অনাথ তিন কন্যা! কী হবে তাদের ভবিষ্যৎ?
এই মর্মান্তিক ঘটনায় তিনটি ছোট মেয়ে বাবা-মাকে হারিয়ে সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়েছে। কে দেখবে এই অনাথদের? কে তাদের বড় করবে? এই প্রশ্নই এখন গোটা এলাকায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মানুষের চোখে জল, কান্নার রোল উঠেছে গোটা পাড়ায়।

🚔 পুলিশ তদন্তে নেমেছে, সত্যিই কি সুদখোরদের দায়?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়, তারপর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে স্বামী স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেন, এরপর নিজে গলায় দড়ি দেন।
নিয়ামতপুর থানার পুলিশ দুই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে এবং ঘটনার গভীর তদন্ত শুরু করেছে।