কুলটি, ২৪ নভেম্বর: ঝাড়খণ্ড থেকে আসা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। শনিবার সন্ধ্যায় কুলটি থানার অন্তর্গত ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫০টির বেশি কার্তুজ উদ্ধার
অভিযানের সময় উদ্ধার হয় ১০টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫০ রাউন্ডেরও বেশি তাজা কার্তুজ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। ধৃতরা হলেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা মিনারুল ইসলাম (৩৩) ও সফিকুল মণ্ডল (৩৭)। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই অস্ত্র বাংলার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল।
গোপন সুত্র থেকে খবর, কুলটিতে বড়সড় সাফল্য এসটিএফ-এর
রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-এর এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমাদের কাছে আগেই খবর ছিল যে ঝাড়খণ্ড থেকে বড় অস্ত্রের চালান বাংলায় ঢুকছে। সেই অনুযায়ী আমরা অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য পেয়েছি।” ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এই অস্ত্রের চক্র ও তাদের মূল হোতা সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
সীমান্তে নজরদারি আরও কঠোর
এই ঘটনা সামনে আসার পর ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহল।
অস্ত্র চক্রের নেপথ্যে কারা? চলছে তদন্ত
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি থেকে অস্ত্র পাচারের রুট এবং এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসটিএফ-এর এক আধিকারিক বলেছেন, “এই গ্রেফতারি বড় সাফল্য, অস্ত্র পাচার চক্র ভেঙে দেওয়ার জন্য আমরা তৎপর।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক, পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতাও
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার পর পুলিশের সক্রিয়তাকে প্রশংসা করেছেন। তবে অস্ত্র পাচারকারীদের সক্রিয়তায় আতঙ্কও ছড়িয়েছে।