কুলটি (আসানসোল): পরিবেশ রক্ষার প্রশ্নে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিল কুলটি এলাকার ‘মার্বেল হাউস’ নামে এক নির্মাণপ্রকল্প। স্থানীয়দের অভিযোগ, জিটি রোড লাগোয়া একটি পুকুর বুজিয়ে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। ঘটনায় হইচই পড়ে গেলে আসানসোল পৌরনিগম এবং ৯ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান চৈতন্য মাজি তদন্তে নামেন।
🧭 ঘটনাস্থলে পৌরনিগম, মাপজোকের কাজ শুরু
পৌরনিগমের সহকারী প্রকৌশলী সুধাময় হাজরা জানান, “পুকুর বুজিয়ে নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি, মাপজোক করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। এরপরই উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
চৈতন্য মাজি স্পষ্ট ভাষায় বলেন—
“এটি সম্পূর্ণ অবৈধ নির্মাণ। পুকুর ভরাট করে দোকান বানানো চলবে না।”
🧾 মালিকের পাল্টা দাবি: “পুকুর নয়, ডাঙা জমি ছিল”
দোকান মালিক গৌতম মাজি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন—
“২০১০ সালে জমিটি কিনেছি, তখন থেকেই এটি ডাঙা জমি ছিল। জমির সব বৈধ কাগজপত্র পৌরনিগমে জমা রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, এই জমির উপরেই বৈধ অনুমোদন নিয়ে তারা মার্বেল ব্যবসার জন্য দোকান গড়ে তুলছেন।
🧑🤝🧑 স্থানীয় প্রতিক্রিয়া: পরিবেশ বনাম কাগজপত্র
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুলটি এলাকায় উত্তেজনা ও চর্চা তুঙ্গে। একাংশ স্থানীয় বাসিন্দার দাবি—
“পুকুর বুজিয়ে নির্মাণ করলে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়বে, জলস্তর কমবে।”
অন্যদিকে অনেকেই বলছেন—
“যদি জমির কাগজপত্র বৈধ হয়, তাহলে মালিককে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই।”
🔍 পৌরনিগমের রিপোর্টেই নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ
এই মুহূর্তে পৌরনিগমের রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে আছে এলাকাবাসী। দেখা যাচ্ছে, জমির চরিত্র নির্ধারণে স্যাটেলাইট ম্যাপ ও পুরনো রেকর্ড খতিয়ে দেখা হবে।
এই ইস্যুতে পরিবেশবিদদেরও মতামত নেওয়া হতে পারে।