‘ছাত্ররাজনীতির কণ্ঠরোধ!’— ইউনিয়ন সরানো নিয়ে উঠল প্রতিবাদের ঝড়

single balaji

কলকাতা হাই কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে লাগাম, ছাত্র সংগঠন বলছে ‘নীরব করার চেষ্টা’

আসানসোল/কলকাতা:
কলকাতা হাই কোর্টের এক গুরুত্বপূর্ণ আদেশ ঘিরে রাজ্যের শিক্ষা মহলে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, রাজ্যের কোনো স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আর ছাত্র ইউনিয়নের অফিস রাখা যাবে না। আদালতের মতে, শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ জরুরি।

🔍 কী বলেছে আদালত?

হাই কোর্ট জানিয়েছে, ছাত্র ইউনিয়নের অফিস থেকে প্রায়ই রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালিত হয়, যার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ ব্যাহত হয়। তাই এই পদক্ষেপ শিক্ষার পরিবেশকে রাজনীতি মুক্ত রাখার উদ্যোগ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

🎓 ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ, শিক্ষকদের স্বাগত

এই রায়কে কেন্দ্র করে ছাত্রদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কিছু ছাত্রের বক্তব্য, “আমরা যদি ক্যাম্পাসে আমাদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন না পাই, তাহলে আমাদের সমস্যা কোথায় জানাবো? ইউনিয়ন আমাদের অধিকার রক্ষার মঞ্চ।

অন্যদিকে, বহু শিক্ষক ও অভিভাবক এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। আসানসোলের এক কলেজ অধ্যাপক বলেন, “ছাত্র রাজনীতি দরকার, কিন্তু ক্যাম্পাসের ভিতরে নয়। এতে পড়াশোনার ক্ষতি হয়।

🏫 আসানসোলেও উঠল মতভেদ

আসানসোলের একাধিক কলেজ ও ছাত্র সংগঠন এই বিষয়ে মুখ খুলেছে। কিছু ইউনিয়ন নেতা একে ছাত্র রাজনীতিকে দমন করার চেষ্টা বলে আখ্যা দিলেও, কেউ কেউ স্বীকার করেছেন যে ইউনিয়নের আড়ালে অনেক সময় বাইরের লোকজন ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

🔮 সামনে কী?

এই আদেশকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই নির্দেশ মাঠ পর্যায়ে কতটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং এর প্রভাব রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় কতটা পড়ে।

ghanty

Leave a comment