অন্ডাল।
ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড (ECL)-এর শ্রমিকদের দুই মাস ধরে সময়মতো বেতন প্রদান না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে শ্রমিক মহলে। বৃহস্পতিবার বেতন প্রদানের দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন কয়লা খদান শ্রমিক কংগ্রেস (KKSC)-এর আহ্বানে গোটা ইসিএল জুড়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠে।
সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রতিটি কোলিয়ারি পিটে বিক্ষোভ, এবং ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন এরিয়া জেনারেল ম্যানেজার (GM) অফিসের সামনে ধর্না অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দা এরিয়া জিএম অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত ধর্না-মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক শ্রমিক এবং সংগঠনের নেতারা।
ধর্না চলাকালীন বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেকেএসসি-র সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক হরিরাম সিংহ বলেন—
“দুই মাস ধরে শ্রমিকদের বেতন আটকে রাখা হয়েছে। এভাবে শ্রমিকদের পরিবারকে চরম আর্থিক সংকটে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।”
তিনি আরও জানান যে, ইসিএল ব্যবস্থাপনা তাদের ৬৫০ কোটি টাকার লোকসানের যুক্তি দেখিয়ে বেতন প্রদানে দেরি করছে।
ব্যবস্থাপনার দাবি—এপ্রিল থেকে কয়লা বিক্রি কম হওয়ায় আর্থিক সঙ্কট তীব্র হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর মধ্যে বৈঠকে ব্যবস্থাপনা প্রস্তাব দেয়—
মাসের ২২ তারিখে দুটি কিস্তিতে বেতন দেওয়া হবে।
কিন্তু সমস্ত শ্রমিক সংগঠন একযোগে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
ধর্না কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন—
এরিয়া সেক্রেটারি রূপক চক্রবর্তী,
এরিয়া জেসিসি সদস্য গৌরচন্দ্র পাল,
নিউ কেন্দা কোলিয়ারি সেক্রেটারি দেবাশিস চ্যাটার্জি,
লোয়ার কেন্দা সেক্রেটারি দয়াময় পাত্র,
সিএল জামবাদ সভাপতি শিবারাম বাউরি—সহ বহু ইউনিয়ন নেতা ও শ্রমিক।
শ্রমিকদের অভিযোগ—
“বেতন না পাওয়ায় ঘরের বাজার, বাচ্চাদের ফি, ঋণের কিস্তি—সবই আটকে গেছে। পরিস্থিতি অসহনীয়।”
শ্রমিক সংগঠন হুঁশিয়ারি দিয়েছে—
যদি দ্রুত বকেয়া বেতন মেটানো না হয়, আন্দোলন আরও তীব্র হবে এবং ইসিএলের সব এরিয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কেন্দা এলাকাজুড়ে গোটা দিনজুড়ে উত্তেজনা ছিল চরমে।












