অন্ডাল (পশ্চিম বর্ধমান):
ইসিএলের বঁকোলা এলাকার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারিতে সোমবার সময়মতো মজুরি প্রদান ও নতুন শ্রম সংহিতা আইন বাতিলের দাবিতে তীব্র আন্দোলনে নামল তৃণমূল কংগ্রেস-সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন কয়লা খনি শ্রমিক কংগ্রেস (কেকেএসসি)। কোলিয়ারি চত্বরে এদিন বিশাল মিছিল ও গেট মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়।
এই আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন কেকেএসসির নেতৃত্বে থাকা সুজিত চক্রবর্তী, সৌমিক মজুমদার, জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু শ্রমিক নেতা ও কর্মীরা। আন্দোলনকারীরা ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জোরালো স্লোগান দেন এবং সময়মতো বেতন না পাওয়ার প্রতিবাদে ক্ষোভ উগরে দেন।
দুই-তিন মাস ধরে অনিয়মিত বেতন, চরম দুর্ভোগ শ্রমিকদের
কেকে এসসি নেতা সৌমিক মজুমদার বলেন,
“গত দুই-তিন মাস ধরে কোলিয়ারির স্থায়ী শ্রমিকরা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না। চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত এক টাকাও বেতন দেওয়া হয়নি। শ্রমিকদের বলা হচ্ছে, উৎপাদিত কয়লা বিক্রি না হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু কয়লাখনি জাতীয়করণের পর এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আগে কখনও দেখা যায়নি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নিয়মিত বেতন না দেওয়ার পিছনে ইসিএলের অন্য কোনও অভিসন্ধি থাকতে পারে। ইচ্ছাকৃতভাবেই শ্রমিকদের আর্থিকভাবে চাপে রেখে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি দাবি করেন।
নতুন শ্রম আইন শ্রমিক বিরোধী — কেকেএসসি
কেকেএসসি নেতৃত্বের দাবি, নতুন শ্রম সংহিতা আইন সম্পূর্ণভাবে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী। এই আইনের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাজের নিরাপত্তা, স্থায়ী চাকরির অধিকার ও ইউনিয়নের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে। তাই এই আইন অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানানো হয়।
আন্দোলন চলবে, স্পষ্ট বার্তা সংগঠনের
কেকেএসসি সাফ জানিয়ে দিয়েছে,
“যতদিন না নিয়মিত ও নির্দিষ্ট দিনে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে এবং নতুন শ্রম আইন বাতিল করা হচ্ছে, ততদিন এই আন্দোলন আরও বৃহৎ আকারে চলতেই থাকবে।”
এদিনের আন্দোলনে কোলিয়ারি চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হয়েছে। শ্রমিক মহলে এখন প্রশ্ন উঠছে, দ্রুত দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে এই আন্দোলন আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।












