আজ সোমবার সকাল প্রায় নটা নাগাদ নবদ্বীপ থেকে রানীগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী বাস এবং একটি ডাম্পার গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পর মুহূর্তের মধ্যেই এলাকাজুড়ে চিৎকার আর হাহাকার শুরু হয়। বাসের যাত্রীরা সবাই কমবেশি আহত হন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুর্ঘটনার ফলে বাসের চালক গাড়ির ভেতরেই আটকে পড়েন। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টার পর গ্যাস কাটার মেশিন দিয়ে বাসের সামনের অংশ কেটে চালককে উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কালনার SDPO রাকেশ চৌধুরী, কালনা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। তাঁরা আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাসটি একটি টোটোকে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ডাম্পারটির ধাক্কা খায়। সংঘর্ষের তীব্রতায় বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার জেরে কালনা–দুর্গাপুর রেল গেট সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়।
ঘটনার পর এলাকায় প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ওই এলাকায় প্রায়ই বেপরোয়া ডাম্পার চলাচল করে এবং নিয়মিত পুলিশি নজরদারির দাবি তোলেন। দুর্ঘটনার পর আবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর দাবি জোরদার হয়।












