কলকাতা: আজ (২১ অক্টোবর, ২০২৪) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় ‘নবান্ন’-তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সাক্ষাৎ করতে পৌঁছান আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর জি কর মেডিকেল কলেজের এক কর্মরত নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে চলা অচলাবস্থা নিরসনের জন্য এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা, যদিও, ঘোষণা করেছেন যে তারা তাদের অনশন চালিয়ে যাবেন, যতক্ষণ না তাদের দাবিগুলো পূরণ হচ্ছে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে ধর্ষিত ও নিহত চিকিৎসকের জন্য বিচার, স্বাস্থ্য সচিব এন এস নিগমের অপসারণ এবং চিকিৎসা কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি।
বৈঠকের প্রেক্ষাপট এবং চিকিৎসকদের দাবির বিবরণ:
দেবাশীষ হালদার, আন্দোলনরত এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এই বৈঠক থেকে ইতিবাচক ফলাফলের আশায় রয়েছি।” আন্দোলনস্থল এসপ্ল্যানেড থেকে নবান্নের দিকে রওনা হওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তারা ৫ অক্টোবর থেকে অনশন করছেন এবং আন্দোলনের কারণে ৬ জন চিকিৎসক ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এবং আরও ৮ জন অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ বিকাল ৫টার বৈঠকের আগে, আন্দোলনরত চিকিৎসকরা হুমকি দিয়েছেন যে, যদি তাদের দাবিগুলি পূরণ না হয়, তবে তারা রাজ্যজুড়ে কাজ বন্ধ আন্দোলন শুরু করবেন।
মুখ্যমন্ত্রী শনিবার ফোনে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেছিলেন এবং তাদের অনশন ত্যাগ করার অনুরোধ করেন। তিনি জানান যে, তাদের বেশিরভাগ দাবি ইতিমধ্যেই পূরণ হয়েছে এবং বাকি দাবিগুলো পূরণের জন্য তাকে আরও ৩-৪ মাস সময় দিতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এবং চিকিৎসকদের প্রতিক্রিয়া:
রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে আগামীকাল (২২ অক্টোবর, ২০২৪) দুপুর ৩টার মধ্যে একটি লিখিত নির্দেশনা পাঠানো হবে, যেখানে চিকিৎসকদের দাবিগুলোর বিষয়ে সময়সীমা উল্লেখ থাকবে।
আরও জানা গেছে যে আর জি কর মেডিকেল কলেজের ৫৯ জন বরখাস্ত হওয়া ছাত্র ছিল “বিখ্যাত অপরাধী”, এবং তাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেছেন, “আমরা কখনও সেই শিক্ষার্থীদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত ভুল মনে করি না।”
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি আপনাদের দাবিগুলোর অধিকাংশই মেনে নিয়েছি। তবে মেডিকেল কাউন্সিল পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে।”