দুর্গাপুর/বার্নপুর:
শিল্পাঞ্চলের প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক কৈলাশ তিওয়ারির পিতা শ্রীধর তিওয়ারি (৮০)-র প্রয়াণে আসানসোল-বার্নপুর ও দুর্গাপুর জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শনিবার সকালে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি একজন প্রাক্তন সরকারি শিক্ষক ছিলেন এবং শান্ত-সম্ভ্রান্ত স্বভাবের কারণে বার্নপুর-আসানসোল এলাকায় সকলের কাছে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
শ্রী তিওয়ারির মৃত্যুতে সাংবাদিক মহল ও শিক্ষক সমাজে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।
ভোজপুরি মঞ্চ দুর্গাপুরের সভাপতি ও সমাজসেবী ডা. সত্যদেব ওঝা এক শোকবার্তায় জানান—
“এটি শিক্ষক সমাজের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। সাংবাদিক রীনা তিওয়ারি ও কৈলাশ তিওয়ারিকে আমি ধৈর্য ও সাহস রাখার আহ্বান জানাই।”
শ্রীধর তিওয়ারির মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই দুর্গাপুরের মায়াবাজারের ডি.টি.পি.এস. কলোনি এলাকাতেও শোকের ছায়া নেমে আসে, যেখানে তাঁর আত্মীয়রা বসবাস করেন। স্থানীয় শিক্ষক মহলও তাঁর অবদান ও সদাচরণের কথা স্মরণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
প্রবীণ এই শিক্ষক পরিবারে স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গিয়েছেন। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন এবং পরিবারকে এই কঠিন সময়ে শক্তি দেওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন।
বিগত কয়েক দশক ধরে সাংবাদিকতায় যুক্ত কৈলাশ তিওয়ারি বার্নপুর ও শিল্পাঞ্চলের সাংবাদিক মহলে পরিচিত নাম। তাঁর পিতার মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।