আসানসোল :
গত ২৯ আগস্ট রাতের অন্ধকারে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত নিয়ামতপুর ফাঁড়ির রেহমানপাড়ায় হওয়া গুলির ঘটনার পর থমথমে হয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকা। জিটি রোডের কাছে এই হত্যাকাণ্ড স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক এবং পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলেছিল। প্রতিবাদস্বরূপ স্থানীয়রা রাস্তায় নেমে অবরোধও করেন।
সেই সময় নিয়ামতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ অখিল মুখার্জি আশ্বাস দিয়েছিলেন, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। কথামতো, পুলিশ তদন্ত শুরু করে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করে। এরপর ২ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি থেকে খুনের মূল চক্রী ফরাহ নাজসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে গতকালই আসানসোল থেকে ধরা পড়ে সুপারি কিলার গ্যাংয়ের আরও ৪ সদস্য।
👉 এভাবে, নিয়ামতপুর ফাঁড়ি পুলিশ শুধু জावেদ বারিক হত্যাকাণ্ড নয়, টানা আরও পাঁচটি খুনের মামলা সমাধান করে নজির গড়ল।
📌 জনতার ভালোবাসা ও সম্মান
এই সাফল্যে মুগ্ধ হয়ে সোমবার রাত সাড়ে ন’টার সময় রেহমানপাড়া ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের এক প্রতিনিধিদল ফুলের তোড়া দিয়ে ফাঁড়ি ইনচার্জ অখিল মুখার্জিকে সংবর্ধনা জানায়।
👉 স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য:
“জাভেদ বারিক হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য মামলায় পুলিশের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপে আমাদের আস্থা আরও দৃঢ় হয়েছে। অখিল মুখার্জি ও তাঁর টিম প্রমাণ করেছেন, অপরাধ যতই বড় হোক না কেন, আইনের জালে ধরা পড়বেই।”
🔴 পুলিশি এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন অপরাধ জগতের উপর ভয় নেমে এসেছে, অন্যদিকে এলাকাবাসীর মধ্যে শান্তি ও আস্থার পরিবেশ ফিরেছে।












