জামুড়িয়া:
মাঝরাতে জামুড়িয়া বাজার যেন পরিণত হয়েছিল চোরেদের মুক্তাঞ্চলে! রাত প্রায় ১:৩০ টা, এলাকাজুড়ে ঘন শীত আর নিস্তব্ধতা—সেই সুযোগেই ২–৩ জন দুষ্কৃতী থানার চোখের সামনেই একাধিক দোকান ও বাড়িতে ধারাবাহিক চুরি চালিয়ে এলাকায় রীতিমতো তাণ্ডব সৃষ্টি করে।
ঘটনাটি আরও ভয়ঙ্কর এই কারণে যে চুরির জায়গা জামুড়িয়া থানার মাত্র কয়েকশো মিটার দূরে। রাতে টহলদারির দাবি থাকলেও পুলিশ ঘটনার কিছুই টের পায়নি। ফলে এলাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ,
👉 “পুলিশ যদি সত্যিই টহল দিত, তাহলে এত বড়সড় চুরি কি করে হয়?”
কোন কোন দোকানে চুরি হয়েছে?
দুষ্কৃতীরা প্রথমে মারওয়ারি পট্টির সাঁওরিয়া বুটিকে চুরি চালায়।
🔹 প্রায় ₹৫০,০০০ নগদ
🔹 সোনার গয়না — সবই উধাও।
এর পাশাপাশি আরও যেসব দোকানে চুরি হয়েছে—
- অর্চনা টিব্রেওয়াল – সাঁওরিয়া বুটিক
- মনোজ আগরওয়াল – আগরওয়াল হোম ডেকর
- বিকাশ কুমার টিব্রেওয়াল
- রমেশ সরাফ – লক্ষ্মী জুয়েলার্স
- উমাশঙ্কর সন্থালিয়া – জামুড়িয়া বাজারের কাপড়ের দোকান
সন্থালিয়ার দোকানের ৮–১০টি তালার মধ্যে ৫–৬টি ভেঙে হলেও চোরেরা দোকানের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। তবুও ক্ষতি কম হয়নি।
ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক
বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন—
👉 “বাজারের মাঝখানে এত বড় চুরি হলে নিরাপত্তা কোথায়?”
👉 “রোজ রাতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।”
অনেকে দাবি করছেন, এর পেছনে চক্রবদ্ধ গ্যাং কাজ করছে এবং তারা এলাকাটি ভালোভাবে চিনত।
পুলিশ কী বলছে?
ক্ষতিগ্রস্তরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে—
✔️ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে
✔️ এলাকা জুড়ে তদন্ত চলছে
✔️ দুষ্কৃতীদের শিগগিরই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে
তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়ছে।












