দুর্গাপুর: কেওয়াইসি আপডেট করার নামে ফের এক চাঞ্চল্যকর প্রতারণা। জামতারার কুখ্যাত সাইবার গ্যাং এবার ফাঁদে ফেলল এক প্রাক্তন এলআইসি কর্মীকে। হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়ো কল, স্ক্রিন শেয়ার অন করার ছল, তার পর একের পর এক ওটিপি চাইতে চাইতে মুহূর্তের মধ্যেই উধাও প্রায় চার লক্ষ টাকা।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২৮ জুন। আতঙ্কে স্তব্ধ মৃণাল কান্তি তিওয়ারি, পরে বুঝতে পারেন সর্বনাশ হয়ে গেছে। অবশেষে ১ জুলাই সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ হাতে পেয়েই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার সেলের তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য—এই প্রতারণার পেছনে রয়েছে কুখ্যাত জামতারার গ্যাং। ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, পুলিশি তৎপরতায় ধরা পড়েছে মাস্টারমাইন্ড খগেন দান ও মিঠুন দান-সহ মোট ৮ জন।
সূত্রের খবর, প্রতারিত টাকা দিয়ে অভিযুক্তরা কিনেছিল আড়াই লক্ষ টাকার দুটি দামি মোবাইল ও প্রায় ৫৫ হাজার টাকার সোনা। তবে পুলিশের তৎপরতায় সেইসব উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে।
অভিষেক গুপ্তা জানান, “এই প্রতারক চক্র বহু সাধারণ মানুষকে একইভাবে ফাঁদে ফেলেছিল। ব্যাংকের তথ্য কীভাবে তাদের হাতে পৌঁছোচ্ছিল সেই নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। এছাড়াও আরও কেউ এর সঙ্গে যুক্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
প্রতারিত মৃণালবাবু বলেন, “আমাকে ভুল বুঝিয়ে প্রতারণা করা হয়েছিল। পরে বুঝতে পেরেছি ভুল করেছি। তবে পুলিশের এই সাফল্যে আমি স্বস্তি পেয়েছি।”
ধৃতদের পুলিশি হেফাজত শেষ হওয়ায় তাদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ আবারও রিমান্ডের আবেদন করেছে।












