কলকাতা:
দুর্গাপূজোর পর এবার কালীপুজো ও দীপাবলিতে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এক অনন্য উদ্যোগ নিল International Equitable Human Rights Social Council। “মানবতা-ই সর্বোচ্চ পূজা”— এই মূল মন্ত্রে ভর করে সংগঠনটি রাজ্যের নানা কালীপুজো মণ্ডপে ঘুরে সাধারণ মানুষের মধ্যে মানবিকতা, আত্মরক্ষা ও মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা ছড়াচ্ছে।

এই সামাজিক উদ্যোগের নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থার আন্তর্জাতিক চেয়ারম্যান সঞ্জয় সিন্হা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দীপক মিত্র, অঞ্জন দে, ইয়াসমিন সুলতানা, সতবীর সিং প্রমুখ। তাঁরা কলকাতা সহ একাধিক জেলার কালীপুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে মিলে মানবতার বার্তা পৌঁছে দেন।

🕯️ সঞ্জয় সিংহ বললেন: “ধর্মের নয়, মানবতার আলো জ্বালাও”

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পরিষদের আন্তর্জাতিক চেয়ারম্যান সঞ্জয় সিন্হা বলেন,

“আমাদের দেশের প্রতিটি উৎসবই কোনও না কোনও পৌরাণিক কাহিনির সঙ্গে যুক্ত। দীপাবলির পেছনেও আছে এমনই এক কাহিনি— অযোধ্যার রাজা রামচন্দ্র সীতা ও লক্ষ্মণকে নিয়ে রাবণবধের পর দেশে ফেরেন, আর সেই আনন্দে জনগণ প্রদীপ জ্বালান। সেই থেকেই আলোয় উৎসব দীপাবলির সূচনা।”

তিনি আরও বলেন,

“আমাদের সমস্ত উৎসবের সঙ্গে যুক্ত আছে প্রাকৃতিক ঋতু, কৃষি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এই উৎসবগুলোই সমাজকে শক্তি দেয়, দুর্দিনে লড়াইয়ের সাহস জোগায়। আজ যখন সামাজিক মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও সংবেদনশীলতা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে, তখন দীপাবলি আমাদের মনে করিয়ে দেয়— অন্ধকার দূর করে আলো আনতে হবে। এই উৎসবের মন্ত্রই ‘তমসো মা জ্যোতির্গময়’— অন্ধকার থেকে আলোর পথে চল।”

💬 “আজ টাকাপয়সা বেড়েছে, কিন্তু মানবতা কমেছে”

সঞ্জয় সিন্হা বলেন,

“স্বাধীনতার পর দেশ উন্নতির পথে এগিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সম্পদ বেড়েছে, মানবতা কমেছে। মধ্যবিত্তের হাতে আজ প্রচুর অর্থ, কিন্তু সেটির অপব্যবহারও হচ্ছে। আমি শুধু বলতে চাই— কখনও মানবতাকে হারাতে দিও না। মানবতা-ই সবচেয়ে বড় পূজা।”

🏆 সোনার বাংলা শ্যামা সম্মান

এই প্রচারের অংশ হিসেবে সংস্থাটি বিভিন্ন জেলার শ্রেষ্ঠ কালীপুজো মণ্ডপগুলিকে ‘সোনার বাংলা শ্যামা সম্মান’ প্রদান করে। প্রতিটি মণ্ডপেই মানবাধিকার সংস্থার দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

সামাজিক আলো ছড়ানোর এই প্রচেষ্টা কেবল একটি সংস্থার নয়, এক সমাজের আত্মপ্রত্যয়ের প্রতীক। মানবতার আলো যেন প্রতিটি হৃদয়ে জ্বলে— এই কামনায় শেষ হলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কালীপুজো অভিযান। 🌼