নয়াদিল্লি:
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে মানবাধিকার সচেতনতার ক্ষেত্রে পরিচিত সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইকুইটেবল হিউম্যান রাইটস সোশ্যাল কাউন্সিল আয়োজিত ইন্দো–ইন্টারন্যাশনাল আইকন অ্যাওয়ার্ডস, সিজন–৩ অনুষ্ঠান রাজধানী দিল্লিতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার স্পিকার হল–এ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মানবাধিকার প্রশিক্ষণ কর্মশালার পাশাপাশি এক ডজনেরও বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিভাকে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজিত হিউম্যান রাইটস ট্রেনিং ওয়ার্কশপে মানবাধিকারের নানা দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। পদ্মশ্রী প্রাপ্ত ও পাঞ্জাব–চণ্ডীগড় মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য ড. জিতেন্দ্র সিং শান্তি উপস্থিত শ্রোতাদের মানবাধিকারের সূক্ষ্ম দিকগুলি সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
মানবাধিকার জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ
সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী অমন সিন্হা ও বাবুলাল নারনৌলিয়া বলেন, মানবাধিকার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ, তাই তা জানা ও বোঝা অত্যন্ত জরুরি।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, ইন্দ্রপ্রস্থ দিল্লি প্রদেশের সভাপতি কপিল খান্না সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান এবং মানবাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

বিশিষ্ট অতিথিদের বক্তব্য
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মালব্য নগরের বিধায়ক সতীশ উপাধ্যায়, অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম ড. ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসি এবং গ্রেটার কৈলাসের কাউন্সিলর অঞ্জুম মণ্ডল। তাঁরা মানবাধিকার নিয়ে তাঁদের অভিমত প্রকাশ করার পাশাপাশি সম্মানপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান।
“মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলাই আমাদের উদ্দেশ্য”
সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল চেয়ারম্যান সঞ্জয় সিন্হা বলেন,
“দেশ ও বিশ্বের মানুষের মধ্যে মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সেই কারণেই আমরা নিয়মিত মানবাধিকার প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করি। একই সঙ্গে ইন্ডো–ইন্টারন্যাশনাল আইকন অ্যাওয়ার্ডসের মাধ্যমে আমরা সেই মানুষগুলিকে সামনে আনতে চাই, যাঁরা সমাজের জন্য অসাধারণ কাজ করছেন।”
সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের তালিকা
এবছর সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন—
- মহারাষ্ট্রের দৃষ্টিহীন সমাজসেবী: বিকাশ কুমার কুবড়ে
- হিমাচল প্রদেশের শিশু শিল্পী (টিভি অভিনেত্রী): আশ্বী ধিমান
- দিল্লির কবি ও সাহিত্যিক: ড. আনা দেহলভি
- দিল্লির সমাজসেবিকা: পূজা রানি
- এইচআর প্রধান: মীনু শর্মা
- বিহারের সমাজকর্মী: সচিন সৌরভ ও যুবরাজ কুমার
- উত্তর প্রদেশের প্রবীণ সাংবাদিক: সন্তোষ শ্রীবাস্তব
- ঝাড়খণ্ডের সমাজকর্মী: প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য
এছাড়াও বহু সমাজসেবী ও সাংবাদিককে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরা
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান মুভমেন্টের সভাপতি আর. এল. ফ্রান্সিস, বিজেপি নেতা কে. এস. দুগ্গাল, এহসান খান, মৌলানা ইয়াকুব বুলন্দশহরি, সুনীল কুমার প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন সতবীর সিং, অমিত সিং ও গৌতম ঠাকুর।











