আসানসোল | রিপোর্ট: নিজস্ব প্রতিনিধি
নুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আসনবনি মোড় সংলগ্ন একটি কাঠের মিলে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণে দামী কাঠের গুঁড়ি উদ্ধার করল বনদপ্তর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পানুরিয়া বনদপ্তরের অভিযানিক দল এলাকায় উপস্থিত হয় এবং মিল চত্বরে রাখা বহু অবৈধভাবে মজুত কাঠ বাজেয়াপ্ত করে।
এই গুড়িগুলি বর্তমানে সুরক্ষিতভাবে রূপনারায়নপুর বনদপ্তরে সিজ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাতে তদন্তের স্বার্থে এগুলি সংরক্ষিত রাখা যায়। উদ্ধার হওয়া কাঠের মধ্যে কিছু সেগুন, শাল ও মেহগনি জাতীয় মূল্যবান কাঠ রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
🔍 তদন্তে গড়িমসি? ফরেস্ট অফিসার মুখে কুলুপ
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিষয়ে পানুরিয়া ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার মনোরঞ্জন মাহাতোর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাঁর এই নীরবতা এলাকাবাসীর সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই আসানবনি মোড় সংলগ্ন মিলটিতে অবৈধ কাঠের ব্যবসা চলছিল, কিন্তু প্রশাসন চোখ বন্ধ করে রেখেছিল।
🚓 থানার ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে
এই এলাকা আসানসোল থানার অধীনস্থ এবং কন্যাপুর আইসি-র আওতায় পড়ে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে প্রশাসনের চোখের সামনে এত বড়ো মাত্রায় কাঠ পাচার হচ্ছিল?
স্থানীয়দের মতে, অবৈধ কাঠ ব্যবসার পেছনে একটি সুসংগঠিত চক্র কাজ করছে, যার সাথে কিছু প্রভাবশালী লোকের যোগসাজশ থাকতে পারে।
📢 এলাকাবাসীর দাবি:
- ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হোক
- কাঠ পাচারের মূলচক্রকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হোক
- বনদপ্তর ও পুলিশের যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকুক