আসানসোল/কুলটি:
কুলটি থানার সাকতোড়িয়া ফাড়ি অন্তর্গত ভালাড়িহ ও মনকেশ্বর দামোদর নদীঘাটে দীর্ঘদিন ধরে চলা অবৈধ বালু তোলার বিরুদ্ধে অবশেষে বিস্ফোরিত হল সাধারণ মানুষ। আসানসোল পুরনিগমের ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঝুনট গ্রাম, ভালাড়িহ শালোনি, বিনোদ বাঁধ এবং পালাশডাঙা এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন—পরিমল নামে এক ব্যক্তি প্রশাসনকে ভুল পথে চালিত করে দিনের পর দিন বেআইনিভাবে বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
🔹 ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নামল মহিলারা—“নদী আর আমাদের জীবন দু’টোই শেষ হয়ে যাচ্ছে!”
স্থানীয় মহিলারা হাতে ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে তীব্র প্রতিবাদ করেন। তাদের অভিযোগ—
- অবৈধ বালু তোলার কারণে নদীতে স্নান করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে,
- ধোবিঘাটের কাজ সম্পূর্ণ ব্যাহত,
- ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানও ঠিকভাবে করা যাচ্ছে না,
- দামোদর নদীর প্রাকৃতিক স্রোত বদলে গিয়ে এখন ঘাট ব্যবহারই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
মহিলারা বলেন,
“এভাবে নদীকে খুঁড়ে খুঁড়ে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। আর দেরি করলে ঘাট কিংবা গ্রাম—কিছুই আর বাঁচবে না।”
🔹 ভয় দেখানোর অভিযোগ—“ট্রাক আটকালে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেব, গুলি করবো, গ্রাম খালি করিয়ে দেব!”
গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন, পরিমল ফোন করে একাধিক স্থানীয় মানুষকে হুমকি দিচ্ছে—
- মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে
- গুলি করে দেওয়ার ভয়
- পুরো গ্রাম খালি করিয়ে দেওয়ার হুমকি
পরিমল নাকি প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে—
“আমার কতদূর হাত পৌঁছয়, তোমরা কল্পনাও করতে পারবে না!”
🔹 প্রতিদিন ২০০–৩০০ ট্রাক বালু পাচার!—কুলটি মণ্ডল ৩ সভাপতি আমর প্রসাদের বিস্ফোরক দাবি
ঘটনা জানাজানি হতেই কুলটি মণ্ডল ৩-এর সভাপতি আমর প্রসাদ স্থানীয়দের পাশে দাঁড়ান। তিনি বলেন—
- “পরিমল মণ্ডল বালু মাফিয়া হতে পারে, কিন্তু গ্রামবাসীকে ভয় দেখানোর অধিকার তার নেই।”
- “প্রতিদিন ২০০–৩০০ ট্রাকে অবৈধ বালু পাচার চলছে। এটা ছোটখাটো কাজ নয়, বড় র্যাকেট।”
- “তার পিছনে কার আশীর্বাদ আছে, কার অনুমতিতে এত বড় কাজ চলছে—আমরা জানতে চাই।”
🔹 প্রশাসনের কাছে কড়া দাবি—দামোদর নদীঘাটকে অবিলম্বে মুক্ত করা হোক
স্থানীয়দের দাবি—
- অবৈধ বালু কারবার বন্ধ করতে বিশেষ অভিযান,
- পরিমল মণ্ডলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ,
- নদীঘাটে স্থায়ী পুলিশ পিকেট,
- রাতের ট্রাক চলাচলে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা।
গ্রামবাসীদের হুঁশিয়ারি—
“এবার আর চুপ থাকবো না। প্রয়োজনে নদী ঘাট অবরোধ, র্যালি, গণআন্দোলনে নামবো।”












