অন্ডালের সিঙ্গার নদীকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি। অভিযোগ উঠেছে, এক রেলওয়ে কনট্রাক্টর অবৈধভাবে সিঙ্গার নদী থেকে বালি ও মাটি তুলছেন, এবং এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় গ্রামবাসীরা। রবিবার সকাল থেকেই নদীর ধারে ভিড় জমতে থাকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
🌊 “আমাদের না জানিয়ে নদী কেটে নেওয়া হচ্ছে”—গ্রামবাসীদের ক্ষোভ
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জমি কিনে জানিয়েছিল সেই জায়গায় रेलলাইন সম্প্রসারণের কাজ হবে। কিন্তু প্রকল্পের কথা বলে চুপিসারে সিঙ্গার নদী থেকেই বালি-মাটি কাটছে কনট্রাক্টর, যা গ্রামবাসীদের মতে বেআইনি।
চকরা, তারকডাঙা, থানা রোড—সব এলাকাতেই বর্ষাকালে সিঙ্গার নদীর জল ঢুকে গ্রামে দুর্যোগ হয়। গ্রামবাসীরা আশঙ্কা করছেন,
“এইভাবে নদী কাটতে থাকলে নদীর দিশা পাল্টে যাবে, আর আমাদের গ্রাম আরও বেশি বিপদে পড়বে।”
একজন গ্রামবাসী বলেন—
“বর্ষায় নদী ফুলে গেলে জল প্রথমেই ঢুকে পড়ে আমাদের গ্রামে। এখন যদি নদীর দিকটাই বদলে যায়, তাহলে পুরো গ্রামটাই জলমগ্ন হয়ে যাবে।”
🏗 রেল কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি
অভিযোগের প্রেক্ষিতে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,
“আমরা লাইন বসানোর জন্যই এই কাজ করছি। যে জায়গা থেকে মাটি নেওয়া হচ্ছে, তা প্রকল্পের অংশ। অবৈধভাবে কিছু করা হচ্ছে না।”
তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ—
তাদের না জানিয়ে কাজ করা হচ্ছে, এবং নদীর সুরক্ষার জন্য কোনও বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট বা পরিবেশগত মূল্যায়ন দেখানো হয়নি।
🚓 পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী
অভিযোগ-প্রতিবাদের জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে অন্ডাল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পরিস্থিতি এখনও টানটান, তবে বড় কোনও অশান্তি ঘটার আগেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
⚠ নদী-পরিবেশ নিয়ে নতুন বিতর্ক
স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের দাবি—
- সিঙ্গার নদী বহু গ্রামাঞ্চলের প্রাণরস।
- অবৈধ বা অতিরিক্ত বালি-মাটি তোলা হলে নদীর গতিপথ বদলে যেতে পারে।
- এতে বাড়বে ভাঙন, প্লাবন এবং গ্রামীণ দুর্যোগ।
তারা এও জানান যে খুব শিগগিরই জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হবে।












