রানীগঞ্জ: রানীগঞ্জে অবৈধ পুকুর ভরাটের ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বোরা-২ এর সহকারী ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক সেনগুপ্তর অভিযোগের ভিত্তিতে রানীগঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এরপর পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, সমস্ত অভিযুক্ত জামিন পেয়ে গিয়েছে।
প্রশাসনের আদেশ অমান্য করেও চলছিল পুকুর ভরাট
গত এক সপ্তাহ ধরে রানীগঞ্জ মৌজার হলদারবাঁধ পুকুরের পাশে অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের কাজ চলছিল। প্রশাসনের নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ অমান্য করে এই কাজ অব্যাহত ছিল।
পশ্চিমবঙ্গ ইনল্যান্ড ফিশারিজ অ্যাক্টে মামলা দায়ের
এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ ইনল্যান্ড ফিশারিজ অ্যাক্ট ১৯৮৪-এর ১৭(১)(এ) ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসনের এই কঠোর অবস্থানের ফলে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও প্রোমোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে প্রশাসনের বাড়তি তৎপরতা
এটি প্রথম ঘটনা নয় যেখানে প্রশাসন অবৈধ পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আগেও আসানসোল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে বড় ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। রানীগঞ্জ বোরো প্রেসিডেন্ট মুজাম্মিল শাহজাদা জানিয়েছেন,
“অভিযোগ পাওয়ার পরই তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অবৈধ নির্মাণ এবং পুকুর ভরাট কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”
প্রশাসনের বার্তা: পরিবেশ রক্ষা করতে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি
এই ঘটনার পর প্রশাসন একটি শক্ত বার্তা দিয়েছে – অবৈধ নির্মাণ ও পুকুর ভরাটের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দারাও প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে পরিবেশ রক্ষা এবং জলাশয় সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি।