পশ্চিম বর্ধমান জেলার হাড়ভাঙ্গা গ্রামে বেআইনি বালি পাচার রুখতে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে শতাধিক গ্রামবাসী রাস্তায় নামে। দামোদর নদী থেকে প্রতিনিয়ত বালি তোলা হচ্ছে এবং ভারী লরি ও ডাম্পার দিয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পাচার করা হচ্ছে—এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
🏚 রাস্তা ভাঙছে, সেতু ঝুঁকির মুখে:
গ্রামবাসীদের দাবি, এই ভারী যানবাহনের চলাচলে রাস্তাগুলি একেবারে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং হাড়ভাঙ্গা ব্রিজ যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, এই ট্রাক চলাচলের কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে, কিছু ক্ষেত্রে প্রাণহানিও হয়েছে।
👶 শিশুদের জীবন হুমকির মুখে:
একজন মহিলা বাসিন্দা জানান,
“আমার সন্তান প্রতিদিন স্কুলে যায় ভয়ে। কখন যে ট্রাক ধাক্কা মারে—সে চিন্তায় থাকি সারাদিন।”
📣 প্রশাসন জানলেও পদক্ষেপ নেই:
স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামাশঙ্কর সিংহ বলেন,
“আমি ভিডিও ও প্রমাণসহ প্রশাসন এবং ঊর্ধ্বতন নেতাদের বারবার জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ দেখা যায়নি।”
বিক্ষোভের দিনে গ্রামবাসীরা এক ঘণ্টা ধরে বালি বোঝাই ট্রাক আটক করে বিক্ষোভ দেখান।
🕵️ পাচারের নতুন ছক:
গ্রামের আরেক বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বাউরি বিস্ফোরক দাবি করেন,
“হাদভাঙ্গা থেকে বালি উঠছে, অথচ চালান দেখানো হচ্ছে ব্যাংকুরা জেলার নামে! এটা স্পষ্ট পাচার।”
তিনি আরও জানান, এই বালি উত্তোলন শুধু রাস্তা ভাঙছে না, বরং গ্রামে জলের সংকট, মাটি ক্ষয়, রোগ-জীবাণু বাড়ার আশঙ্কা তৈরি করছে।
🚨 গ্রামবাসীদের হুঁশিয়ারি:
গ্রামবাসীরা জানিয়ে দিয়েছেন,
“এই অবৈধ বালি ব্যবসা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে প্রশাসনের সামনে গিয়ে আমরণ অবস্থানে বসবো।”
- দামোদর নদী থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে নতুন নয়। তবে সম্প্রতি হাদভাঙ্গা এলাকায় এর মাত্রা মাত্রাছাড়া হয়ে গেছে।
- গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, বালি ব্যবসায় কিছু স্থানীয় নেতা ও প্রভাবশালীরাও যুক্ত, যার কারণে প্রশাসন চুপ।