আসানসোল:
নকল চা পাতার রমরমা কারবারের পর্দাফাঁস হল আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুর টহরম ৪ নম্বর অঞ্চলে। গোপন সূত্রে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালায় আসানসোল–দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। অভিযানে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নামী সংস্থার লেবেল লাগানো বিপুল পরিমাণ নকল চা পাতার প্যাকেট, আলাদা করে রাখা নকল লেবেল এবং কাঁচা চা পাতা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভাড়া বাড়িটিকে নকল চা প্যাকেটজাত করার ঘাঁটিতে পরিণত করা হয়েছিল। স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে বাইরের রাজ্য থেকে আগত দুই ব্যক্তি ওই বাড়িটি ভাড়া নেন। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় তারা একটি পরিচয়পত্র জমা দেন। আধার কার্ড অনুযায়ী তাদের একজনের নাম রোহিত মাহাতো, বাড়ি রায়পুর, ছত্তিশগড় বলে জানা গেছে।
তবে পুলিশের অভিযানের আগেই ওই দুই ব্যক্তি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেই এই নকল ব্যবসা চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।
অধিকারিক সূত্রে আরও জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া চা পাতার প্যাকেটে টাটা সংস্থার লেবেল ব্যবহার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ নকল। এই ঘটনার জেরে বড়সড় প্রতারণা চক্রের ইঙ্গিত মিলছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই নকল লেবেল, প্যাকেট ও চা পাতা বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে—
▪ এই নকল চা কোথায় সরবরাহ করা হতো
▪ এর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না
▪ অন্য এলাকাতেও একই ধরনের কারখানা চলছে কি না
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এমন নকল খাদ্যপণ্যের কারবারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠছে।











