দুর্গাপুর-অন্ডাল: আবারও আলোচনায় উঠে এল নকল ‘প্রাচীন মুদ্রা’-র ছদ্মবেশে প্রতারণা। অন্ডাল থানার পুলিশের তৎপরতায় বুধবার গভীর রাতে গ্রেফতার হল দুই অভিযুক্ত — বীরভূমের বাসিন্দা মীর আমিরুল ও শেখ আসাদুল্লাহ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ভুয়ো প্রাচীন মুদ্রা দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতাত।
প্রথমে সিউড়িতে এক ব্যক্তিকে ‘প্রাচীন মুদ্রা’ দেখিয়ে সাড়ে চার লক্ষ টাকার প্রতারণা করে চক্রটি। এরপর দুর্গাপুরের উখড়া এলাকায় একই কৌশলে আরও এক ব্যক্তিকে টার্গেট করা হয়। খবর পেয়ে অন্ডাল থানার পুলিশ রাতারাতি অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে একাধিক নকল মুদ্রা, মোবাইল ফোন ও প্রতারণার নথিপত্র উদ্ধার করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাটির তলা থেকে পাওয়া বলে যেগুলি ‘প্রাচীন মুদ্রা’ হিসেবে চালানো হচ্ছিল, সেগুলি আসলে নকল। পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তরা একটি বৃহত্তর চক্রের অংশ, যারা পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও পার্শ্ববর্তী জেলায় সক্রিয়। চক্রের আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনও অচেনা ব্যক্তি যদি প্রাচীন মুদ্রা বা অমূল্য ধনদৌলত দেখানোর কথা বলে, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা অন্ডাল থানার এই দ্রুত পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ করতে পুলিশের আরও কঠোর অভিযান প্রয়োজন।