ছুটির দিনেই শ্রমিকদের ইপিএফ (EPF) ও ইএসআই (ESI) সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান শোনার জন্য বিশেষ ক্যাম্প!
আর মাত্র দু’দিনের নোটিশে আয়োজিত এই ক্যাম্পকে ঘিরেই তীব্র ক্ষোভ ছড়াল পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্পাঞ্চলে।
সূত্রে জানা যায়, ২৩ অক্টোবর দুর্গাপুর রিজিওনাল অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে জেলার একমাত্র ক্যাম্প হবে রানীগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের জয় বালাজি ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার চত্বরে। সোমবার ছুটির দিনেই সেখানে উপস্থিত হন ইপিএফ ও ইএসআই–এর আধিকারিকেরা।
তবে এদিনের ক্যাম্পে কোনও ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধি না এলেও, উপস্থিত ছিলেন সুভাষ স্বদেশ ভাবনা নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রাক্তন ব্যাঙ্কার গোপাল আচার্য আধিকারিকদের হাতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন, যেখানে প্রশ্ন তোলা হয়—
“যদি শ্রমিকদের স্বার্থে ক্যাম্প হয়, তবে সেটা কেন ব্লক, কর্পোরেশন বা জেলা কার্যালয়ে আয়োজন করা হল না? কেন এমন এক কারখানা চত্বরে, যেখানে বহু শ্রমিকেরই নাম পঞ্জিভুক্ত নয়?”
গোপালবাবুর অভিযোগ,
“যেখানে বহু শ্রমিককে বছরের পর বছর দৈনিক মজদুর হিসেবে কাজ করানো হয়, অথচ তাদের নাম পঞ্জিভুক্ত করা হয় না, সেখানে ক্যাম্প করে কীভাবে শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা সম্ভব?”
তিনি আরও বলেন,
“দু’দিন আগে এক ইংরেজি দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে, ছট্পুজোর মতো ছুটির দিনে এই ক্যাম্প আয়োজন নিছকই এক প্রহসন।”
প্রসঙ্গত, সোমবার ছটের ছুটি থাকায় অধিকাংশ শ্রমিকই উপস্থিত থাকতে পারেননি, ফলে পুরো জেলার এই বিশেষ ক্যাম্পে হাজির হন মাত্র ১৬ জন শ্রমিক! যা কার্যত ক্যাম্পের ব্যর্থতার প্রমাণ।
তবে সামাজিক সংগঠনের সরব ভূমিকার পর আধিকারিকেরা জানান,
“আগামীতে এ ধরনের ক্যাম্পের আগে যথাযথ প্রচার ও জনসচেতনতা বাড়ানো হবে।”
গোপাল আচার্য বলেন,
“সরকার শ্রমিকদের কল্যাণে উদ্যোগ নিক, আমরা সহযোগিতা করব। কিন্তু প্রচারের অভাবে উদ্যোগ অর্থহীন হয়ে পড়ছে।”
এখন নজর সকলের এই দিকেই—
আগামী দিনে রাজ্যের শ্রম দফতর সত্যিই কি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, পেনশন ও সুরক্ষার দাবিতে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেবে?












