🔥 ইডির হানা: মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে উদ্ধার চাঞ্চল্যকর নথি!

unitel
single balaji

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় হলো ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতার কমপক্ষে ১০টি স্থানে একযোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। রাজ্যের অগ্নিশমন মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেক সেক্টর ওয়ান-এ অবস্থিত অফিসেও পৌঁছেছে ইডির আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, নাগেরবাজার এলাকার এক কাউন্সিলরের বাড়ি, ঠনঠনিয়া, শরত বসু রোড, নিউ আলিপুর, বেলেঘাটানাগেরবাজারের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও চলছে তল্লাশি অভিযান।

ইডি সূত্রে জানা গেছে, এই অভিযান শুধু পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি নয়, পাশাপাশি একটি বড় ব্যাংক জালিয়াতির মামলাতেও চলছে অনুসন্ধান।

🔍 নাগেরবাজার থেকে শুরু ইডির অভিযান

শুক্রবার ভোর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ইডির একাধিক টিম বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে অভিযান শুরু করে। প্রথম অভিযান শুরু হয় নাগেরবাজার এলাকা থেকে, যেখানে সকাল সকাল তল্লাশি শুরু হতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

মন্ত্রীর অফিসে তল্লাশি, রাজ্যে তোলপাড়

ইডি আধিকারিকরা শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের একটি ভবনে পৌঁছে মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিস সিল করে দেয়। সূত্রের দাবি, ইডি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ডিজিটাল ডেটা জব্দ করেছে।

এর পাশাপাশি, মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং দলের কিছু কর্মীর নামও নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

🕵️‍♂️ আগেও হয়েছিল ইডির অভিযান

এটি প্রথম নয় — এর আগেও, ১২ জানুয়ারি ২০২৪ সালে ইডি লেকটাউনে সুজিত বসুর দুটি বাড়ি ও অফিসে ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েছিল।
সেই সময় ইডি কর্মকর্তারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও মন্ত্রী সুজিত বসুর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেন।
তখন মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন —

“যদি প্রমাণ হয় যে কেউ আমাকে চাকরি দেওয়ার নামে এক টাকাও দিয়েছে, আমি আজই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার পদত্যাগপত্র দেব।”

💰 পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির ছক ফাঁস করল ইডি

পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র পাওয়া গিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) দুর্নীতির তদন্তের সময়।
সেই সময় সিবিআই অয়ন শীল নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে, এবং তার সল্টলেকের অফিস থেকে একাধিক OMR শিট উদ্ধার করে, যা পুরসভা নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছিল।

সিবিআইয়ের চার্জশিটে প্রকাশ, অয়ন ও তার দুই এজেন্টের মাধ্যমে ১৬টি পুরসভায় প্রায় ৫০,০০০ টাকা ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এখন ইডি অবৈধ অর্থ লেনদেন ও মানি ট্রেল অনুসন্ধান করছে।

🏛️ রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য

ইডির এই নতুন অভিযানের পর রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা তুঙ্গে।
বিরোধীরা বলছে —

“এটি বরফের চূড়া মাত্র, পুরসভা দুর্নীতির আসল গভীরতা এখনো প্রকাশ পায়নি।”

অন্যদিকে, শাসকদলের তরফে অভিযোগ —

“এটি রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার কেন্দ্রীয় ষড়যন্ত্র।”

ghanty

Leave a comment