অন্ডালের বনবহাল ফাঁড়ির অন্তর্গত পিউর জামবাদ এলাকায় বুধবার সকাল ৭টায় ইসিএল কর্মী মেঘনাদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে সকাল ৫টা নাগাদ ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনার ফলে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবারের সন্দেহ প্রকাশ
মৃত মেঘনাদের ছেলে ভীমসেন জানিয়েছেন যে তার মা ফোনে তাকে জানান, মেঘনাদ মঙ্গলবার কাজে বেরিয়েছিলেন কিন্তু সারারাত বাড়ি ফেরেননি। সকালে তার দেহ পাওয়ার খবর শুনে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তার মতে, এই মৃত্যুর পেছনে গভীর কোনো কারণ থাকতে পারে, যা তদন্তের পরই প্রকাশ্যে আসবে।
আত্মহত্যা নাকি ষড়যন্ত্র?
স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্র কুমার যাদব জানিয়েছেন যে মেঘনাদ পিউর জামবাদ কোলিয়ারির পিট নাম্বার ছয় এলাকায় থাকতেন এবং ইসিএলে কর্মরত ছিলেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে এটি কি শুধুমাত্র আত্মহত্যার ঘটনা, নাকি এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে? পুলিশ এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে এবং প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য গভীর তদন্ত চলছে।
এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ
এই ঘটনার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন যে মেঘনাদ হয়তো কোনো চাপের মধ্যে ছিলেন। তার সহকর্মী ও নিকট আত্মীয়রাও এই ঘটনায় হতবাক।