দুর্গাপুর, শনিবার – স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল প্রত্যক্ষ করল এক ঐতিহাসিক শ্রমিক ঐক্যের ছবি। দুর্গাপুর সিমেন্ট কারখানা, স্টিল প্লান্ট, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন এবং অন্যান্য শিল্প কারখানার প্রায় এক হাজার শ্রমিক একযোগে ন্যাশনাল ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন (NFITU)-তে যোগ দিলেন।
এই বিশাল শ্রমিক সংহতির পেছনে আছে দীর্ঘদিনের আন্দোলন। জানা গেছে, গোপালমাঠে টানা ২৫ দিন ধরে অনশন করেছিলেন শ্রমিক নেতা ধ্রুবজ্যোতি মুখার্জির নেতৃত্বে। আন্দোলনের কারণ ছিল – কারখানার ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক অন্যায়ভাবে সাসপেন্ড হওয়া শতাধিক শ্রমিকের পুনর্বহাল ও তাদের ন্যায্য পাওনা আদায়। অবশেষে আন্দোলনের চাপে ম্যানেজমেন্টকে কিছু শ্রমিকের পাওনা মেটাতে বাধ্য হতে হয়।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এখনও বহু শ্রমিক কাজে ফিরতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিক নেতা ধ্রুবজ্যোতি মুখার্জি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন – তিনি নিজের স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখে গোল্ড লোনের কয়েক লক্ষ টাকা তুলে এনে ২০০ শ্রমিকের হাতে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিলেন।
স্থানীয় শ্রমিক মহলে ধ্রুবজ্যোতির এই আত্মত্যাগ ইতিমধ্যেই আলোড়ন তুলেছে। তাঁকে ঘিরে শ্রমিকরা বলছেন –
👉 “এটাই সত্যিকারের সংগ্রামী নেতৃত্ব, যিনি নিজের পরিবারের স্বার্থকে পাশে রেখে শ্রমিকদের জন্য লড়াই করেন।”
এদিন NFITU-র পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়,
“আমরা আন্দোলনরত শ্রমিকদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। আগামী দিনে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে আরও জোরালো আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে।”
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে এই শ্রমিক ঐক্য এখন নতুন অধ্যায় রচনা করছে। একদিকে আন্দোলনের চেতনা, অন্যদিকে শ্রমিক নেতার আত্মত্যাগ – সব মিলিয়ে শহরের শ্রমিক রাজনীতিতে তৈরি হচ্ছে ইতিহাস।












