প্রচণ্ড দাবদাহে জলের জন্য হাহাকার ছড়িয়েছে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায়। পানীয় জল মেলেনি একাধিক ওয়ার্ডে, পথবাতি বন্ধ, নাগরিক পরিষেবায় চরম বিশৃঙ্খলা—এই সব অভিযোগ তুলে বুধবার বিজেপির পক্ষ থেকে তিন নম্বর বোরো অফিস ঘেরাও করে তীব্র বিক্ষোভ দেখানো হয়।
বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন—
- বুদ্ধদেব মন্ডল, বিজেপি ৩ নম্বর মন্ডল সভাপতি
- চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সহ-সভাপতি
- অভিজিৎ দত্ত, জেলা সাধারণ সম্পাদক
🗣️ বিক্ষোভ থেকে বিজেপির অভিযোগ:
- ২০২২ সালে দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়াদ শেষ হয়েছে, এরপর থেকে কাউন্সিলর নেই, নেই কোনো কার্যকর প্রশাসন।
- পানীয় জল থেকে শুরু করে আলোক ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট সবই বেহাল।
- অনেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক সার্টিফিকেট, লাইসেন্স সহ অন্যান্য ন্যূনতম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত।
- সাধারণ মানুষ নানা সমস্যায় ভুগলেও, প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিক্ষোভকারীরা একটি স্মারকলিপি জমা দেন এবং হুঁশিয়ারি দেন, “দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বিজেপি।”
📢 প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:
ধর্মেন্দ্র যাদব, দুর্গাপুর পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য, আশ্বাস দেন—
“যে এলাকাগুলিতে সমস্যা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নাগরিকদের সমস্যাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”
- বেনাচিতি, অভগড়া, স্টিল টাউন সহ বহু এলাকায় দিনে মাত্র একবার জল আসছে, তাও অনেক সময় শুকনো কল।
- অনেক জায়গায় ওভারহেড ট্যাঙ্ক থাকলেও পাম্পিং সিস্টেম অকেজো, ফলে জল পৌঁছচ্ছে না বাড়িতে।
- সাধারণ মানুষ ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
🔚 উপসংহার:
নাগরিক পরিষেবার এই ভেঙে পড়া পরিকাঠামো, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং জলের মত মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থতা নিয়ে দুর্গাপুরের রাজনীতি উত্তাল। সামনের দিনে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।