দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে ফের রাজনৈতিক পালাবদলের সুর!
বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুইয়ের হাত ধরে তৃণমূলের শতাধিক কর্মী ঘাসফুল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন।
এই যোগদান অনুষ্ঠানটি হয় দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামপুর এলাকায় এক বেসরকারি অতিথিশালায় দুপুর ১২টা নাগাদ।
বিজেপির পতাকা হাতে তৃণমূলের একাধিক ওয়ার্ডের কর্মীরা ‘পরিবর্তন চাই’ স্লোগানে মুখরিত করেন সভাস্থলটি।
💬 বিজেপি বিধায়কের দাবি ও রাজনৈতিক বার্তা
বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই জানিয়েছেন—
“দুর্গাপুরের ৪০, ৪১, ৪২ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডসহ আশপাশের একাধিক এলাকায় তৃণমূলের কর্মীরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
মানুষ এখন প্রকৃত উন্নয়ন চায়, দুর্নীতি নয়।”
তিনি আরও বলেন,
“দুর্গাপুরের সাধারণ মানুষ এখন বুঝতে পারছেন, তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ প্রকল্প নয়, বিজেপির ‘জনতার দূত’ প্রোগ্রামই সত্যিকারের উন্নয়নের পথ দেখাবে।”
🔥 তৃণমূলের পাল্টা তোপ
অন্যদিকে, দুর্গাপুর তিন নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি শিপুল সাহা পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলেন—
“লক্ষণবাবু দিবাস্বপ্ন দেখছেন।
বসে থাকা কিছু পুরনো বিজেপি কর্মীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে বলছেন তৃণমূল ছেড়ে এল!
এই নাটক দুর্গাপুরবাসী ভালোই বোঝে।”
তৃণমূলের দাবি, এ ধরনের নাটকীয় যোগদান অনুষ্ঠানে দলের প্রকৃত কর্মীদের কোনও যোগ নেই — এটি শুধু প্রচারের কৌশল।
⚖️ রাজনৈতিক তরজা ও ২০২৬ এর ছায়া
রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে —
এই যোগদান পর্ব কি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বাভাস?
এসআইআর (School Inspector Recruitment) মামলা, দুর্নীতি বিতর্ক, উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন —
সব মিলিয়ে রাজ্যজুড়ে এখন শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে।
তারই মাঝে এই দলবদলের হাওয়ায় রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ আরও চড়ছে পশ্চিম বর্ধমানে।
🌾 স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
শ্যামপুর ও আশেপাশের এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে,
“এবার ভোটের আগে আগুন ধরবে রাজনীতিতে।
সাধারণ মানুষ কাজ চায়, দলবদল নয়। কিন্তু এইসব যোগদান ইভেন্টই বুঝিয়ে দিচ্ছে – লড়াইটা জমবে।”












