দুর্গাপুর: শহরের এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় মেরুকরণ ও ছাত্রদের ভুল পথে পরিচালিত করার অভিযোগ ঘিরে বুধবার দুপুরে দুর্গাপুর থানা চত্বরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সনাতনি ঐক্য মঞ্চের ডাকে থানা ঘেরাও ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
🔹 ‘ছাত্রদের ধর্মীয়ভাবে প্রভাবিত করা হচ্ছে’—যুদ্ধংদেহী অভিযোগ
অভিযোগকারীদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মতো দুর্গাপুরের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের মানসিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।
বিশেষত হিন্দু ছাত্রদের প্রলুব্ধ করে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ সামনে এসেছে, যা অভিভাবক মহলে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সংগঠনের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে ধর্মীয় মত প্রচার, গোপন ক্যাম্প, সন্দেহজনক কার্যকলাপ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘গাইডেন্স’ দেওয়ার মতো ঘটনাও সামনে এসেছে। এই সমস্ত মিলিয়েই বুধবারের প্রতিবাদে আগুনে ঘি ঢেলে দেয়।
🔹 থানা ঘেরাও, স্মারকলিপি জমা
অভিযোগের ভিত্তিতে সনাতনি ঐক্য মঞ্চ দুর্গাপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন—
“শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি ধর্মীয় প্রভাব বিস্তারের জায়গায় পরিণত হয়, তাহলে আগামী প্রজন্ম ভয়াবহ বিপদের মুখে।”
পরবর্তীতে সংগঠনের পক্ষ থেকে থানায় একটি বিস্তৃত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
🔹 BJP নেতার কড়া প্রতিক্রিয়া
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজেপি নেতা সুমন্ত মণ্ডল বলেন—
“যাঁরা ছাত্রদের মস্তিষ্ক দূষিত করছে, ধর্মের নামে অপরাধ করছে—তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বরদাস্ত করা হবে না।”
🔹 পুলিশের উপস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি
দুর্গাপুর থানার পুলিশ গোটা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শীঘ্রই শুরু হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
🔹 অভিভাবকদের আতঙ্ক
অভিভাবক মহলের একাংশের বক্তব্য—
“স্কুলে যদি ধর্ম শিক্ষা নয়, বরং ধর্মীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হয়, তাহলে আমাদের সন্তানরা কীভাবে নিরাপদ থাকবে?”
🔹 আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সনাতনি ঐক্য মঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে—
তাদের দাবিতে দ্রুত পদক্ষেপ না হলে, শহরজুড়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে এবং অন্যান্য সন্দেহভাজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নামও প্রকাশ করা হবে।
