এনআইটি-তে ছাত্রদের সঙ্গে মন্ত্রীর বিতর্কে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

দুর্গাপুর │

দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এনআইটি) শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত ‘আত্মনির্ভর ভারত ও বিকশিত ভারত’ শীর্ষক প্রশ্নোত্তর সভা হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার আত্মনির্ভর ভারত নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সমাধান জানতে চাইছিলেন। কিন্তু দুই ছাত্র মৌলিক অধিকার ও সংরক্ষণ ইস্যুতে তীব্র প্রশ্ন তোলায় মঞ্চে বিতর্কের আবহ তৈরি হয়।

রাজস্থানের ছাত্র আয়ুষ বেনুয়া বলেন,

“ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজস্থানে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সরকার এ বিষয়ে কী ভাবছে জানতে চেয়েছিলাম, কিন্তু উত্তর পেলাম না। উল্টে প্রতিমন্ত্রী ক্ষেপে গেলেন। শেষে ডিরেক্টর সাহেব আমার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিলেন।”

প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার পাল্টা বলেন,

“আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তাঁর মৌলিক অধিকার কোথায় লঙ্ঘন হয়েছে। তিনি কিছুই বলতে পারেননি। হয়তো কেউ তাঁকে প্ররোচিত করেছে। সংরক্ষণ একটি সাংবিধানিক বিষয়। মাইক্রোফোনে এভাবে কিছু বললে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে।”

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেখে এনআইটির ডিরেক্টর মঞ্চে উঠে নিজে হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে ছাত্র-প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং সভার আবহ ঠান্ডা করেন।

এই ঘটনাটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ছাত্রদের প্রশ্ন তোলাকে গণতান্ত্রিক অধিকার বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে, জেলার তৃণমূল মুখপাত্র উজ্জ্বল মুখার্জি মন্তব্য করেন,

“মন্ত্রীর দাবি যে ছাত্রকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন করা অপরাধ নয়। জনগণ তাঁকে সাংসদ করেছে, কাজেই জনগণের প্রশ্ন শুনতেই হবে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা নতুন প্রজন্মের ক্ষোভ ও অসন্তোষের প্রতিফলন। সরকারের উচিত যুবাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং গণতান্ত্রিক আলোচনাকে উৎসাহ দেওয়া।

ghanty

Leave a comment