দুর্গাপুর:
শহরের বেনাচিতির শালবাগান এলাকায় সোমবার গভীর রাতে হঠাৎই কেঁপে ওঠে গোটা মহল্লা। অন্ধকার গলির ড্রেনের ভেতর থেকে ভেসে আসে এক অসহায় শিশুর কান্না। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে দেখতে পান—একটি নবজাতক শিশু প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় ড্রেনের জলে পড়ে আছে। মুহূর্তেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
মানুষজন তড়িঘড়ি শিশুটিকে উদ্ধার করে খবর দেন দুর্গাপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নবজাতককে নিয়ে যায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে শিশুটি চিকিৎসাধীন এবং তার শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়দের দাবি, যেভাবে নিষ্ঠুরভাবে নবজাতককে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা মানবতার পক্ষে এক লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত। কে বা কারা এমন কাজ করল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শিশুটিকে জন্মের পরেই ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—“আজকের দিনে যখন শিশুর জন্য দত্তক নেওয়ার একাধিক সংস্থা রয়েছে, তখনও কেন এভাবে অমানবিকভাবে একটি প্রাণকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হলো?”
দুর্গাপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আশপাশের মানুষের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এই নির্মম ঘটনায় গোটা এলাকা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। বহু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এর বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করছেন এবং দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি তুলছেন।