নিজস্ব সংবাদদাতা : দুর্গাপুজোর মহানবমীতে দুর্গাপুরের প্রধান গেটের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং কাদা রোড থেকে বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়েছিল। শোভাযাত্রায় মহিলারা এবং পুরুষেরা লাঠি খেলা প্রদর্শন করছিলেন। শোভাযাত্রা এলাকায় পরিক্রমা করে দুর্গাপুরের কানিষ্ক মন্দিরে পৌঁছায়। বিভিন্ন আখড়া কমিটি এই শোভাযাত্রায় যোগ দেন এবং কানিষ্ক মন্দির থেকে একসঙ্গে শোভাযাত্রা শুরু হয়। রাস্তার দু’পাশে অসংখ্য দর্শকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
শোভাযাত্রার পথে কৌতূহলবর্ধক দৃশ্য
এই শোভাযাত্রা দুর্গাপুর স্টিল নগরের কানিষ্ক মোড় থেকে শুরু হয়ে সেকেন্ডারি শিবাজী আশিষ মার্কেট হয়ে চিত্রলয় মাঠে পৌঁছায়। শোভাযাত্রায় আকর্ষণীয় ট্যাবলোও দেখা যায়। শোভাযাত্রার কেন্দ্রে থাকা এক যুবক হনুমানের বেশে সেজেছিলেন, যা সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
দর্শনার্থীদের ভিড় এবং উৎসাহ
শোভাযাত্রাটি দুর্গাপুরের অন্যতম বিশিষ্ট আখড়াগুলোর একত্রে অংশগ্রহণে আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকদের মধ্যে ছিল বিপুল উৎসাহ। বিভিন্ন আখড়ার সদস্যরা তাঁদের কৌশল প্রদর্শন করেন, যা উপস্থিত সকলের মনে গভীর ছাপ ফেলে। এই ধরনের আয়োজন দুর্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির পরিচায়ক এবং উৎসবের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
বাঙালি ভাইবোনদের ঐক্যের প্রতীক
শোভাযাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া, যেখানে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে থাকা হনুমান সেজে থাকা যুবকের উপস্থিতি সেই বার্তাকে আরও বেগবান করে। উৎসবের মরসুমে দুর্গাপুরের রাস্তাগুলো যেন এক মিলনের মঞ্চ হয়ে উঠেছিল।