দুর্গাপুর, ৫ অক্টোবর:
দুর্গাপূজার উৎসবমুখর আমেজ শেষ হতেই আবারও উৎসবের আবহে মুখরিত হয়ে উঠেছে সমগ্র শিল্পাঞ্চল। সোমবারের শরৎ পূর্ণিমায় মা লক্ষ্মীর আরাধনা উপলক্ষে চারিদিকে সাজো সাজো রব। ভক্তি ও আনন্দের আবহে বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন হাজারো মানুষ।
শহরের ফুটপাথে সারি সারি সাজানো রঙিন লক্ষ্মীর প্রতিমা যেন পথচারীদের মন কাড়ছে। দোকানপাট ভরে উঠেছে পূজার সামগ্রী, ফলমূল, মিষ্টি ও সাজসজ্জার জিনিসপত্রে। তবে এবারের উৎসবে মানুষের কাঁধে চেপেছে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা।
মূর্তিশিল্পী ধীরেন্দ্র পাল জানান— “গত বছর যে ছোট মূর্তি ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, এবার তা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় মিলছে। বড় প্রতিমার দাম ১৫০০ টাকার কাছাকাছি।” তিনি আরও বলেন, মূর্তি তৈরির কাঁচামাল—মাটি, রঙ, কাপড় ও সজ্জাসামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় খরচও বেড়েছে বহুগুণ।
ফল বিক্রেতা ধীরেন সাও জানান, “দুর্গাপূজার সময় থেকেই দামের ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়েছে। আমরাও বেশি দামে জিনিসপত্র কিনছি, তাই দামে বাড়তি চাপ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।” আপেল, ডালিম, কলা, নারকেলসহ পূজার অপরিহার্য জিনিসগুলো এবার উঁচু দামে বিক্রি হচ্ছে।
তবুও পূজার উৎসবে ভাটা পড়েনি মানুষের উদ্দীপনায়। দোকানগুলোতে ধূপ, আগরবাতি, প্রদীপ, বেলুন, পোশাক ও সজ্জাসামগ্রী কেনার ভিড়ে কূল পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। মহিলারা ব্যস্ত পূজার থালা সাজাতে, শিশুরা নতুন পোশাক কিনতে, আর যুব সমাজ মেতে উঠেছে রঙিন সাজসজ্জার প্রস্তুতিতে।
মূল্যবৃদ্ধি থাকলেও ভক্তদের বিশ্বাস— “আস্থা আর ভক্তির এই উৎসবে খরচ নয়, আনন্দই আসল।”