দুর্গাপুর, প্রতিনিধি: শহরের কেন্দ্রস্থলে নবনির্মিত আসানসোল-দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ADDA)-র নতুন অফিস বুধবার জাঁকজমকভাবে উদ্বোধন করলেন রাজ্যের নগর উন্নয়ন ও পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, এডিডিএ চেয়ারম্যান কবি দত্ত, জেলা শাসক পণ্নম বালাম এস সহ বহু প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনের আগে মন্ত্রী শহরের ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং শিল্প প্রসারের লক্ষ্যে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে তিনি দুর্গাপুর পুরনিগম দপ্তরে গিয়ে চলমান প্রকল্পগুলির খোঁজ নেন এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন।
মিডিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় মন্ত্রী বলেন,
“আগে দুর্গাপুরকে স্টিল সিটি বলা হতো। কিন্তু এখন এই শহর স্বাস্থ্য হাব হিসাবে গড়ে উঠেছে। এবার দুর্গাপুর আইটি সেক্টরের দিকেও এগোচ্ছে। ইতিমধ্যেই পিনাকল ইনফোটেক বড় বাজেটে কাজ শুরু করেছে। আগামী দিনে আইটি ক্ষেত্রের উন্নয়নের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।”
মন্ত্রী আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রাফট ও শিল্পোন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছেন। শহরের কিছু সমস্যার সমাধানে সময় লাগছে, তবে খুব শীঘ্রই প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সম্পূর্ণ হবে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে উন্নতি
তিনি বলেন, একসময় দুর্গাপুরে দূষণের মাত্রা ভয়াবহ ছিল। কিন্তু এখন প্রতিটি কারখানাকে পরিবেশ রক্ষায় কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ভাঙাচোরা রাস্তায় দ্রুত মেরামতির নির্দেশ
দুর্গাপুর পুরনিগমে মন্ত্রীর আগমনে এক মহা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। সেখানে তিনি পুরকর্তাদের দ্রুত শহরের সমস্ত ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দেন।
জমি দখল করে শিল্প না করলে ফেরত নেবে এডিডিএ
মন্ত্রী জানান, “যেসব ব্যবসায়ী এডিডিএ থেকে জমি নিয়ে বছরের পর বছর ফাঁকা রেখে দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করা হচ্ছে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবকাঠামো না গড়ে ওঠে, এডিডিএ সেই জমি ফেরত নেবে।”