দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান:
দ্বাপর যুগের কৃষ্ণ আজ কলিযুগে জগন্নাথরূপে রথে আরোহন করে চলেছেন মাসির বাড়ি। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের ইস্কন মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হল এক বিশাল এবং জাঁকজমকপূর্ণ রথযাত্রা, যা সাক্ষী করল হাজারো ভক্তের হৃদয়স্পর্শী অংশগ্রহণের।
প্রথমবারের মতো রাধবঙ্গের মাটিতে বলভদ্র তালধ্বজ রথে, সুভদ্রা দर्पদলন রথে এবং শ্রীজগন্নাথ নন্দী ঘোষ রথে আরোহণ করে ভক্তদের মধ্যে আনন্দ ও আধ্যাত্মিক আবেগের বন্যা বইয়ে দেন।
🎉 রথযাত্রার বিশেষ আকর্ষণ:
- শতাধিক ভক্ত নিজ হাতে রথের দড়ি টেনে অংশ নেন এই পবিত্র যাত্রায়।
- মৃদঙ্গ, করতাল, শঙ্খ ও সংকীর্তনের ধ্বনিতে মুখরিত হয় দুর্গাপুর শহর।
- রথযাত্রা উপলক্ষে বিশেষ প্রসাদ বিতরণ, ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন হয়।
👥 উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব:
এই বিশেষ উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, দফতরের প্রশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, এবং দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ। তাঁরা রথ টেনে ভগবানের আশীর্বাদ লাভ করেন।
🌈 ভক্তদের প্রতিক্রিয়া:
ভক্তদের মতে, “এমন মনোমুগ্ধকর রথযাত্রা দুর্গাপুরে এই প্রথম। যেন পুরীর এক খণ্ড মেলে ধরা হয়েছে আমাদের শহরে।”
বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ, সবাই মেতে ওঠেন এই মহাপবিত্র আয়োজনে।
🔚 উপসংহার:
দুর্গাপুরে এই রথযাত্রা কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত যা আধ্যাত্মিকতা, ঐতিহ্য এবং একাত্মতার উদাহরণ হয়ে রইল।
পরবর্তী ৯ দিন রথযাত্রা চলাকালীন দুর্গাপুর শহর পরিণত হবে এক আধ্যাত্মিক মিলনমেলায়।