দুর্গাপুরে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশের অভিযানে বড় সাফল্য মিলল। ৭৫ কেজি গাঁজা ও একটি চার চাকার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক চক্রের মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতরা হলেন রামকৃষ্ণাপল্লির ভরত কুমার জয়সওয়াল, মুর্শিদাবাদের রানিনগরের আনারুল ইসলাম, দিলদার মণ্ডল এবং আব্দুল খালেক শেখ।
কীভাবে ধরা পড়ল মাদক চক্র?
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় গেইমান ব্রিজ থেকে দুর্গাপুরের রতুরিয়া অঙ্গদপুর শিল্প ক্ষেত্রে যাওয়ার পথে একটি সাদা চার চাকার গাড়ি আটকানো হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোকোভেন থানার পুলিশ রাস্তার মাঝেই তল্লাশি শুরু করে। সন্দেহজনক সাদা গাড়ি থামানো হলে দেখা যায়, গাড়িতে চালক সহ চারজন রয়েছে। গাড়ির ডিকি খুলতেই পুলিশ হতবাক হয়ে যায়। একটি ট্রলি ব্যাগ ও তিনটি কালো ব্যাগের মধ্যে বিপুল পরিমাণ গাঁজা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

উদ্ধার হওয়া গাঁজা এবং মূল্য
তল্লাশিতে মোট ৭৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে তিনজন মুর্শিদাবাদের রানিনগর থেকে ওড়িশার বারপল্লি হয়ে ট্রেনে ধানবাদ হয়ে দুর্গাপুর স্টেশনে আসে। সেখান থেকে ভরত কুমার জয়সওয়াল চার চাকার গাড়ি নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। গাঁজা কেনার পর রতুরিয়া অঙ্গদপুরের দিকে যাওয়ার পথে তারা ধরা পড়ে।
আদালতে পুলিশি হেফাজতের আবেদন
ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে। পুলিশের মতে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে, এই মাদক চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না।
স্থানীয় প্রশাসনের সতর্ক বার্তা
এই ঘটনা দুর্গাপুর এলাকায় মাদক চক্রের বিস্তার নিয়ে নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কোনও ভাবেই রেয়াত করা হবে না।