[metaslider id="6053"]

১১ দিন ধরে অনশন দুর্গাপুরে, ৮০০ শ্রমিকের হক আদায়ের লড়াই

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান
দুর্গাপুর সিমেন্ট কারখানায় ঠিকা শ্রমিকদের উপর চলা বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আমরণ অনশন আজ পৌঁছেছে ১১তম দিনে। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ধ্রুপজ্যোতি মুখার্জি, ভূমি রক্ষা কমিটির অন্যতম সংগঠক।

🛠️ কেন এই অনশন?

সিমেন্ট কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা ঠিকা শ্রমিকদের—

  • ন্যায্য মজুরি প্রদান হয় না
  • নেই কোনো সামাজিক সুরক্ষা বা স্থায়ীত্ব
  • প্রশাসনের তরফে চরম অবহেলা

এইসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে বাধ্য হয়েছে শ্রমিকরা।

NFITU-র জোরালো সমর্থন

ন্যাশনাল ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন (NFITU) এই আন্দোলনের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে।
রাজ্য সভাপতি শ্রী বুম্বা মুখার্জি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানান এবং দাবি করেন—

“শ্রমিকের সম্মান ফেরাতে না পারলে, এই অনশন আন্দোলন আগামী দিনে আরও ব্যাপক হবে।”

আজ প্রায় ৮০০ শ্রমিক NFITU-তে যোগ দেন, যা এই আন্দোলনকে নতুন গতি ও শক্তি দিয়েছে।

🗣️ ধ্রুপজ্যোতির ঘোষণা

ধ্রুপজ্যোতি মুখার্জি বলেন –

“এই লড়াই চোখে চোখ রেখে হবে। ম্যানেজমেন্ট আমাদের দাবিগুলি মেনে না নিলে, আন্দোলন চলবে আরও বড় মাত্রায়। এটা শুধু মজুরির দাবি নয়, এটা অধিকারের লড়াই।”

📣 শ্রমিকদের হুঙ্কার:

  • “আর বঞ্চনা নয়!”
  • “শ্রমের মর্যাদা চাই!”
  • “অধিকার ফিরিয়ে দাও!”

এই স্লোগানে গর্জে উঠেছে দুর্গাপুর সিমেন্ট কারখানা চত্বর।

📌 গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • ১১ দিন ধরে আমরণ অনশন চলছে
  • ৮০০+ শ্রমিক NFITU-র সঙ্গে যুক্ত
  • ভূমি রক্ষা কমিটির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন
  • ন্যায্য মজুরি ও সামাজিক সুরক্ষা প্রধান দাবি

🔚 উপসংহার:

এই আন্দোলন এখন শুধু দুর্গাপুরের সীমায় আটকে নেই—
এটি প্রতিটি বঞ্চিত, ঠিকা শ্রমিকের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠছে।
এটি প্রমাণ করছে— যখন অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়, তখন শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হলে সবচেয়ে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।

ghanty

Leave a comment