নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : দুর্গাপুরে এবার নতুন একটি আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এসেছে। শহরের একটি সরকারি ব্যাংকে গ্রাহকের চেক বইয়ের স্বাক্ষর জাল করে ১.৫ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ব্যাংকের চেক বইয়ে গ্রাহকের জাল স্বাক্ষর করে টাকা কে বা কীভাবে তুললো? দুর্গাপুর সাইবার থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা এই অদ্ভুত জালিয়াতির ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
এই কেলেঙ্কারির সমাধান দূর অস্ত, কিন্তু প্রতারণার শিকার ব্যাংক গ্রাহককে ব্যাংকে প্রতিবাদ করার সময় প্রচণ্ড অপব্যবহারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। দুর্গাপুর স্টিল ফ্যাক্টরির একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী, রবীন্দ্রনাথ তিওয়ারি, অভিযোগ করেন যে তিনি তার মেয়ে স্বাগতা তিওয়ারির সাথে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন বোর্ডের নিচে অবস্থিত একটি গলির ব্যাংকে একটি যৌথ একাউন্ট খুলেছিলেন, যেখানে তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ রেখেছিলেন। চেক বই শেষ হয়ে যাচ্ছিল এবং তিনি কয়েক সপ্তাহ আগে ব্যাংকে নতুন চেক বইয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন।
ব্যাংকের নতুন চেক বই রবীন্দ্রনাথ বাবুর বাড়ির ঠিকানায় আসে, কিন্তু তিনি বাড়িতে না থাকায় চেক বইটি ব্যাংকে ফেরত পাঠানো হয়। আর এখানেই প্রতারণার অভিনব কৌশল শুরু হয়। অভিযোগ, যখন রবীন্দ্রনাথ বাবু এবং তার মেয়ে স্বাগতা দেবী ব্যাংকে নতুন চেক বই নিতে যান, তখন ব্যাংক কর্মীরা তাদের জানান যে তারা চেক বইটি নিয়ে চলে গেছেন। রবীন্দ্রনাথ বাবু ব্যাংক বই আপডেট করতে গেলে দেখেন, তার অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা উধাও হয়ে গেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, তার চেক বই ব্যাংকে থাকার পরেও কীভাবে ভুয়া স্বাক্ষর করে টাকা তুলে নেওয়া হলো।
ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তদের দেখা সত্ত্বেও, অভিযোগ করা হয়েছে যে ব্যাংক কর্মকর্তারা তার সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং তাকে চোর বলে ব্যাংক থেকে বের করে দিয়েছেন। চেকে ভুয়া স্বাক্ষর করে এত টাকা তোলার ঘটনায় দুর্গাপুর শহরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।