বুদবুদ, পশ্চিম বর্ধমান: জাতীয় সড়কে মত্ত যুবকদের তাণ্ডবের বলি হলেন এক ইভেন্ট ম্যানেজার তরুণী। গাড়ি নিয়ে কাজের জন্য গয়াতে রওনা হয়েছিলেন সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পথেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা!
🚗 কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তাঁর একটি ডান্স গ্রুপও ছিল। রবিবার রাতে একটি ইভেন্টের জন্য তিনি সহকর্মীদের নিয়ে গয়া যাচ্ছিলেন।
👉 বুদবুদ সংলগ্ন একটি পেট্রোল পাম্পে গাড়িতে তেল নেওয়ার পরই শুরু হয় বিপত্তি।
👉 জাতীয় সড়কে ওঠার পর থেকেই একটি সাদা রঙের গাড়ি তাঁদের অনুসরণ করতে থাকে।
👉 বারবার চাপ দিয়ে তাঁদের গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়।
👉 একবার এমনভাবে ধাক্কা দেওয়া হয় যে গাড়ির চাকা ডিভাইডারে লেগে যায়।

🚨 চালক রাজদেও শর্মা বলেন:
“সাদা গাড়িতে পাঁচ যুবক ছিল, সবাই মত্ত অবস্থায় ছিল। আমাদের গাড়িকে ভয়ঙ্করভাবে ধাক্কা দিতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে আমরা পুরনো GT রোডে ঢুকি। কিন্তু ওরা সেখানেও আমাদের তাড়া করে এবং জোরে ধাক্কা মারে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের গাড়ি উল্টে যায়।”

🛑 দুর্ঘটনার পরের চিত্র
⚠️ গাড়ি উল্টে যাওয়ার পর সুতন্দ্রা গুরুতর আহত হন।
⚠️ তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
⚠️ কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
⚠️ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

🔎 তদন্তে নেমে যা জানতে পারল পুলিশ
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে—
✅ ঘাতক গাড়ির মালিক ও আরোহীরা পানাগড় কাবাড়ি পট্টির বাসিন্দা।
✅ দুর্ঘটনার পর তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
✅ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
📌 পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য

কাঁকসা থানায় এসে দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী জানান—
💬 “দুটি গাড়ির মধ্যে রেষারেষির কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।”
🚨 কে দেবে এই মর্মান্তিক ঘটনার জবাব?
এই ঘটনায় নাগরিক সমাজ ক্ষোভে ফুঁসছে। প্রশ্ন উঠছে—
❓ জাতীয় সড়কে মত্ত অবস্থায় রেষারেষি করার সাহস কারা দিল এই যুবকদের?
❓ কবে হবে দোষীদের গ্রেপ্তার?
❓ রাস্তার সুরক্ষা কি শুধুই কথার কথা?
👉 পুলিশের আশ্বাস, খুব দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।










