আসানসোল: একেবারে ভেঙে পড়েছে নিকাশি ব্যবস্থা। নর্দমার নোংরা জল ও আবর্জনায় কার্যত রাস্তার উপর জল উঠে আসায় আসানসোল পুরনিগমের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেলপারের চক এলাকা এখন দুর্ভোগের ছবি। ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকার রাস্তা দিয়ে স্বাভাবিক যাতায়াত কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে। তবে এই সমস্যা নতুন নয়—দীর্ঘদিন ধরেই এই অবস্থার সঙ্গে লড়াই করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। এদিন এলাকায় পৌঁছতেই ওয়ার্ড কাউন্সিলার তথা আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। বিক্ষোভ ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাক্বিতণ্ডা শুরু হয়, যা কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার ড্রেনগুলি বছরের পর বছর ধরে পরিষ্কার না হওয়ায় নিকাশি ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। নিয়মিত সাফাই ও সঠিক নিষ্কাশনের অভাবে রাস্তাঘাট এবং বাড়ির আশেপাশে জল জমে থাকে। বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন,
“শীতকালেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে আসন্ন বর্ষায় পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়।”
তাদের আরও অভিযোগ, এই সমস্যার কথা বারবার স্থানীয় কাউন্সিলর ও আসানসোল পুরনিগমকে জানানো হলেও আজ পর্যন্ত কোনও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। জল জমে থাকার ফলে এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, পাশাপাশি প্রতিদিনের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা।
বিক্ষোভের মুখে পড়ে ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন। তিনি জানান, খুব শীঘ্রই আসানসোল পুরনিগমের সাফাই বিভাগকে নির্দেশ দিয়ে ড্রেন পরিষ্কার ও নিকাশি ব্যবস্থার জরুরি মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন,
“এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে এলাকা পরিদর্শন করানো হবে এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এখন দেখার বিষয়, আশ্বাস বাস্তবে কতটা রূপ পায়, নাকি আবারও প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে রেলপারের চক এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ।











