কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩১ বছর বয়সী প্রশিক্ষণরত ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় কলকাতার আদালত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট, যখন ওই ডাক্তারের মৃতদেহ সেমিনার হলে পাওয়া যায়। একদিন পর, ১০ আগস্ট, সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ এবং ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি ব্লুটুথ ইয়ারফোনের ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করা হয়।
আদালতের রায়:
➡️ অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক অনির্বাণ দাস ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন, যা ৫৭ দিনের শুনানির পর আসে।
➡️ ইন-ক্যামেরা ট্রায়ালে ৫০ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়।
➡️ ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারি শুনানি শেষ হয়।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী আদালতের রায়কে “ন্যায়ের জয়” বলে অভিহিত করেছেন, তবে তিনি মামলার “বড় ষড়যন্ত্র”-এর তদন্তের দাবি তুলেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা রায়কে স্বাগত জানাই। তবে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীতা গোয়েলের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত।”
সঞ্জয় রায়ের বোনের বক্তব্য:
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর সঞ্জয় রায়ের বড় বোন বলেন, “যদি সে কোনো অপরাধ করে থাকে, তাহলে তার শাস্তি হওয়া উচিত।”
তবে তিনি স্পষ্ট করেন যে, পরিবার রায়কে চ্যালেঞ্জ করার কোনো পরিকল্পনা রাখে না।
তিনি বলেন, “সঞ্জয় কখনো কোনো মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেনি। যদিও গত কয়েক বছরে তার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ছিল না।”
যে ঘটনা দেশকে কাঁপিয়েছিল:
এই অপরাধ সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
➡️ ৯ আগস্ট ২০২৪: সেমিনার হলে ডাক্তারের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
➡️ ১০ আগস্ট ২০২৪: সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে সঞ্জয় রায় গ্রেফতার।
➡️ ১২ নভেম্বর ২০২৪: মামলার ট্রায়াল শুরু।
➡️ ৯ জানুয়ারি ২০২৫: শুনানি শেষ।
➡️ ২০ জানুয়ারি ২০২৫: দোষীর শাস্তির ঘোষণা।