রোহিত নোনিয়ার উপস্থিতিতে ধেমোমেনের পূজা উদ্বোধন: আলোচনায় সমাজসেবার নতুন অধ্যায়

আসানসোলের ধেমোমেন কোলিয়ারির দুর্গাপূজা এবার বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের পূজায় তাজ হোটেল থিম নিয়ে আসছে এই পূজা কমিটি, যেখানে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্যান্ডেল সকলের মন কাড়তে প্রস্তুত।

পূজা উদ্বোধন এবং অতিথিরা
এবারের পূজার উদ্বোধন করবেন আসানসোলের ডিপি নীলাদ্রি রায় বিশিষ্ট সমাজসেবী রোহিত নোনিয়া, যিনি এলাকায় তাঁর অসামান্য সমাজসেবার কাজের জন্য পরিচিত। তিনি সমাজের নানান স্তরের মানুষের সাহায্যার্থে নিজেকে নিয়োজিত করে রেখেছেন এবং এবার ধেমোমেন পূজার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ধেমোমেনের কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান পার্ষদরা।

পূজার ঐতিহ্য
ধেমোমেন কোলিয়ারির দুর্গাপূজার ঐতিহ্য অনেক পুরোনো। প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৭৩ সালে, এবং সেই সময় থেকেই এই পূজা আলোচনায় ছিল বিশেষত তার আলোকসজ্জার জন্য। চন্দননগরের আলো ব্যবহার করে এই পূজা আলোকসজ্জায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সেই ঐতিহ্য বজায় রেখে এবারও পূজার বিশেষ আকর্ষণ হবে আলোকসজ্জা এবং তাজ হোটেলের অনুকরণে তৈরি থিমের প্যান্ডেল।

রোহিত নোনিয়া: সমাজসেবায় এক অনন্য নাম
রোহিত নোনিয়া ধেমোমেন এলাকায় সমাজসেবায় এক উজ্জ্বল নাম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের সাহায্যে নানা সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে আসছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের জন্য চিকিৎসা, শিক্ষা এবং খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এলাকার যুব সমাজকেও সঠিক পথে পরিচালিত করতে তিনি নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
তিনি শুধু সমাজসেবীই নন, বরং একজন প্রকৃত নেতা যিনি সর্বদা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত। তাঁর নেতৃত্বে ধেমোমেন কোলিয়ারির পূজা এবারও বিশেষ সাফল্যের মুখ দেখবে বলে সকলের আশা।

৩০ লক্ষ টাকার প্যান্ডেল এবং তাজ হোটেল থিম
এবারের ধেমোমেন কোলিয়ারির পূজার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো তাজ হোটেল থিমে নির্মিত প্যান্ডেল, যার মোট খরচ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। তাজ হোটেলের অভ্যন্তরীণ স্থাপত্যকে তুলে ধরা হয়েছে এই প্যান্ডেলে, যা দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শৈল্পিক দক্ষতায় নির্মিত এই প্যান্ডেল ইতিমধ্যেই দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।

বিখ্যাত আলোকসজ্জা
ধেমোমেন কোলিয়ারির পূজা বরাবরই আলোচনায় থেকেছে তার চন্দননগরের আলোকসজ্জার জন্য। এ বছরও এই আলোকসজ্জা দর্শনার্থীদের জন্য এক বিশেষ আকর্ষণ হতে চলেছে। বিভিন্ন রঙিন বাতি এবং নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে আলোকসজ্জায়, যা সন্ধ্যায় প্যান্ডেলের সৌন্দর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।

ghanty

Leave a comment