আসানসোল : চিত্তরঞ্জন রোডের উপর দেন্দুয়া মোড়ের ভয়াবহ যানজট নিয়ে শহরজুড়ে অসন্তোষ চরমে। যানজটের সমাধানে সালানপুর বিডিও অফিসে আজ এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্তরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন ইসিএল বনজেমারির এজেন্ট দীনেশ প্রসাদ, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, তৃণমূল নেতা মুকুল উপাধ্যায়, এবং বিভিন্ন পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
🚛 প্রধান সমস্যার মূলে ইসিএল-এর কয়লাবাহী ডাম্পার!
বৈঠকে উঠে আসে যে প্রতিদিন প্রায় ৬০০টিরও বেশি কয়লাবাহী ট্রাক ও ডাম্পার চলাচল করে দেন্দুয়া মোড় দিয়ে, যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে চরম যানজট। এই যানজট স্কুল, অফিস এবং জরুরি পরিষেবাগুলিতেও প্রভাব ফেলছে।
🕘 রাত ৯টা থেকে সকাল ৭টা — কয়লা ট্রাক চলবে শুধু এই সময়েই!
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়,
✅ সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কোনো ভারী ট্রাক চলবে না
✅ ইসিএলকে বিকল্প রাস্তা নির্মাণে উৎসাহিত করা হয়েছে
✅ খুদিকা-মেলেকোলা হয়ে bypass রুট ব্যবহারের পরামর্শ
✅ “নো এন্ট্রি” জোন চালু হবে ট্রাফিক পুলিশের কড়া নজরদারিতে
🗣️ বিডিওর হুঁশিয়ারি: “এক সপ্তাহ সময়, না মানলে কড়া পদক্ষেপ!”
বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস স্পষ্ট বলেন,
“ইসিএল যদি এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান না করে, তাহলে দিনের বেলায় কোনো কয়লাবাহী গাড়ি চলবে না। প্রশাসন ও রাজনীতি—দুই স্তরে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।”
ইসিএল প্রতিনিধি দীনেশ প্রসাদ জানান, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবেন তিনি, যদিও দিনের বেলায় কয়লা পরিবহন বন্ধ হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
📷 ছবির মতো যানজট নয়, বাস্তব দুঃস্বপ্ন — স্থানীয়দের ক্ষোভ তুঙ্গে
স্থানীয়দের মতে,
“সকাল-বিকেল রাস্তায় হাঁটা দায়। অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলবাস সবই আটকে পড়ে। এবার কিছু করতে হবে।”