অবৈধ কয়লা খনন ও পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা মাঝির বিপদ ক্রমশ বাড়ছে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ফলে ফের আইনি জটে পড়েছেন লালা মাঝি।

CBI এই কাণ্ডে লালাকে মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করে। তারপরে তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তারা তদন্তে জানতে পারে, লালার নামে ১ হাজার ১৪ কোটির অবৈধ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে ED।

🔎 সম্পত্তির উৎস নিয়ে অসন্তুষ্ট ED

ED সূত্রে জানা গেছে, লালাকে এই বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির উৎস ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। কিন্তু তার উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় ED দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে মামলা করে। মামলার শুনানিতে লালার পক্ষে জামিনের আবেদন জানানো হলেও আদালত তা খারিজ করে দেয়।

📉 বাড়ছে লালার আইনি সমস্যা

প্রথমে CBI ও পরে ED-এর একাধিক জিজ্ঞাসাবাদে বারবার ডাকা হয়েছে অনুপ মাঝিকে। সূত্রের খবর, সম্পত্তির উৎস নিয়ে বারবার তথ্যের অসংগতি পাওয়া যাচ্ছে, ফলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিচ্ছে দুই তদন্তকারী সংস্থা।

🌐 আরও তদন্তে ED ও CBI

CBI এবং ED দু’টি সংস্থাই এখন যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে, যাতে অবৈধ কয়লা পাচারের পুরো নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এই মামলার সঙ্গে রাজ্য রাজনীতির একাধিক প্রভাবশালী নাম যুক্ত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সংস্থা।

🧭 রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য

লালা মাঝির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ফলে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলগুলি বলছে, “এটাই তো আসল মুখোশ উন্মোচন, যে অবৈধ কয়লা পাচারের টাকায় বহু নেতা পকেট ভরেছে।”