দার্জিলিং মোড়ে ‘বাবা হোটেল’ ঘিরে বিস্ফোরক অভিযোগের ঝড়

single balaji

দুর্গাপুর:
দার্জিলিং মোড় সংলগ্ন বহুচর্চিত ‘বাবা হোটেল’ ঘিরে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে বিতর্কের মেঘ। হোটেলটির স্বঘোষিত মালিক গৌতম ধীবরের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ সামনে আসায় এলাকাজুড়ে চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বেআইনি জমি দখল, সরকারি ও বন দপ্তরের সম্পত্তি কব্জা, জালিয়াতি এবং গুন্ডাবাহিনী ব্যবহার করে ভয় দেখানোর মতো অভিযোগে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এই বিষয়টি।

স্থানীয় সূত্র ও লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, গৌতম ধীবরের বিরুদ্ধে জলাজমি ভরাট করে বেআইনি বহুতল নির্মাণ, সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য পঞ্চায়েতকে দান করা রাস্তার ওপর গেট বসিয়ে দখলের চেষ্টা এবং বন দপ্তরের অধীন জলাশয়ে ছাই ফেলে ভরাট করে দখল করার মতো একাধিক বেআইনি কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি পুকুরের পাড় দখল করে সীমানা পাঁচিল নির্মাণের অভিযোগও উঠেছে।

এরই মধ্যে সামনে এসেছে আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ। দার্জিলিং মোড়ের ‘বাবা হোটেল’ জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এক মহিলা, যিনি নিজেকে ওই হোটেলের প্রকৃত ও আইনি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মালিক বলে দাবি করেছেন। তিনি গৌতম ধীবরের সম্পর্কে মামি বলেও জানান।

অভিযোগকারিণীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ক্ষমতা ও গুন্ডাবাহিনীর জোরে তাঁকে মারধর, প্রাণনাশের হুমকি ও লাগাতার ভয় দেখিয়ে তাঁর নিজের সম্পত্তি দখল করে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে তিনি চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন।

ন্যায়বিচার ও নিজের সম্পত্তি দখলমুক্ত করার দাবিতে তিনি ইতিমধ্যেই কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েত সহ কাঁকসা ব্লকের একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জোরালো দাবি জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, একের পর এক গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও যদি দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। এখন প্রশ্ন উঠছে—
‘ভালো মানুষের মুখোশধারী’ বলে পরিচিত গৌতম ধীবরের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আদৌ কী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে?

ghanty

Leave a comment