আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান:
বুধবার, ৯ জুলাই, ১০টি ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনের ডাকে ডাকা দেশব্যাপী ধর্মঘটের প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা গেল আসানসোলে।
সকাল থেকেই সিপিএম সহ বামফ্রন্টের কর্মীরা আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত করে বিভিন্ন বাস আটকে দিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে।
⚠️ রাস্তায় পৌঁছাল তৃণমূল, উত্তপ্ত হল পরিস্থিতি
এই সময়েই তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এবং রাস্তা পরিষ্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেন।
এই বিষয়টি ঘিরেই শুরু হয় সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক, স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে পুরো এলাকা মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
একজন দোকানদার বলেন—
“ধর্মঘট নিয়ে রাজনৈতিক নেতারা মুখোমুখি, কিন্তু ভোগান্তি হচ্ছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরই।”
📢 ধর্মঘটের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
এই ধর্মঘটের মাধ্যমে বাম সংগঠনগুলো সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছে—
- শ্রমিকদের শোষণ বন্ধ
- ১০০ দিনের কাজের দাবিতে স্বচ্ছতা
- অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে
- বেকারত্ব ও শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে
তাঁরা বলেন,
“এই ধর্মঘট কোনও রাজনৈতিক কৌশল নয়, এটা সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লড়াই।”
👮 প্রশাসনের সতর্কতায় বড় অশান্তি এড়ানো গেলেও, উত্তেজনা রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে গেল
পুলিশ প্রশাসনের সক্রিয়তায় কোনও বড় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি ঠিকই, তবে
এই ঘটনাটি আসানসোলের রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
লোকসভা ও পুরনির্বাচনের প্রাক্কালে এই সংঘর্ষ ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সংঘাতের ইঙ্গিত বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা।
📝 উপসংহার:
৯ জুলাইয়ের ধর্মঘট কেবল শ্রমিক স্বার্থের প্রতিবাদে সীমাবদ্ধ থাকল না।
বাসস্ট্যান্ডের রাস্তা পরিণত হলো রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চে।
আসানসোলের রাজনীতি যে আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা এই একঘণ্টার সংঘাতেই স্পষ্ট।