কুলটি থেকে সত্যেন্দ্র যাদবের রিপোর্ট : কুলটির সেল গ্রোথ ওয়ার্কস কারখানার প্রধান গেটের কাছে বৃহস্পতিবার চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের ১৭ দফা দাবির সমর্থনে জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরাম দ্বারা একটি সভার আয়োজন করা হয়। এই প্রতিবাদ ২৮ অক্টোবর স্টিল শিল্পে জাতীয় স্তরের ধর্মঘটের সমর্থনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরাম কমিটির সিনিয়র নেতা ও সিটুর বিশিষ্ট নেতা সুজিত ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্পনীতি স্টিল কারখানাগুলিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি দুরগাপুর স্টিল প্ল্যান্টে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের জন্য প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাগুলির উল্লেখ করে বলেন, এই সুবিধাগুলি কুলটি এবং বার্নপুরের মতো দেশের প্রথম লোহা ও ইস্পাত কারখানাগুলিতে দেওয়া হয় না। কুলটিতে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের দিয়ে বেআইনি কাজ যেমন রাস্তা মেরামত করানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক।
ভট্টাচার্য জানান, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এনজেসিএস স্টিল শিল্পে প্রয়োগ করার কথা ছিল, কিন্তু এখনও তা প্রয়োগ হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার ২১ অক্টোবর ২০২১ তারিখে যে চুক্তি চাপের মধ্যে করেছিল তা-ও বেআইনি ছিল। সেইসঙ্গে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের ৩৯ মাসের বকেয়া এখনও পরিশোধ করা হয়নি। স্টিল শিল্পে ১ লাখেরও বেশি চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক কঠোর পরিশ্রম করে উৎপাদন চালাচ্ছেন, কিন্তু ১৪ বছর ধরে তাদের কল্যাণের অর্থ বেসিক বেতনে যুক্ত করা হয়নি, যা শ্রমিকদের শোষণের অংশ।
এই প্রতিবাদে ইন্টাকের মহাসচিব হরাধন মণ্ডল, সচিব বাবু বন্দ্যোপাধ্যায়, বিএমএসের পরমেশ্বর মাহাতো, সিটুর বিনোদ সিং এবং আরও অনেক বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করে তাদের দাবি তুলে ধরেন।