আসানসোল: পশ্চিম বর্ধমান জেলা জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলা শাসক পন্নবালাম এস-এর কাছে দুই দফার একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতা প্রসেনজিৎ পুঁইতুণ্ডি এবং সাহ আলমের নেতৃত্বে বহু কংগ্রেস কর্মী স্মারকলিপি জমা দেন।
কী ছিল দাবিগুলি?
প্রসেনজিৎ পুঁইতুণ্ডি এবং সাহ আলম জানিয়েছেন, এইচএলজি-র আশেপাশে অনেক স্কুল এবং সরকারি অফিস রয়েছে, যার মধ্যে জেলা শাসকের অফিসও অন্তর্ভুক্ত। এখানে অবৈধ ভাবে ওভারলোডেড র্যাক ভেহিকল চলে, যা সকালবেলা স্কুল চলাকালীন বন্ধ রাখা উচিত। শুধু র্যাক ভেহিকল নয়, জুবিলি মোড় থেকে কালিপাহাড়ি পর্যন্ত যে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি, জরুরি পরিষেবার বাইরে, সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা উচিত।
তাঁরা আরও জানান, এখানে দুপুর ১২টার পর থেকে অবৈধভাবে র্যাক ভেহিকল চলে, যা শুধু দূষণ বাড়ায় না, বরং দুর্ঘটনার আশঙ্কাও তৈরি করে।
আসানসোল উৎসব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতারা
স্মারকলিপিতে প্রসেনজিৎ পুঁইতুণ্ডি এবং সাহ আলম অভিযোগ করেন যে, আসানসোল উৎসবের নামে এক প্রকার লুটপাটের উৎসব চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করা হয় প্রচারের নামে। এই অর্থ কোথায় যায়, কোন নেতার পকেট ভরে, তা জানার অধিকার আসানসোলের সাধারণ মানুষের রয়েছে।
পূর্বের দুর্ঘটনার উল্লেখ
তাঁরা বলেন, গত বছর এক “ফাসিল সল্ট ব্যান্ড” ডাকা হয়েছিল, যার ফলে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশকে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয়েছিল। উৎসবের জন্য সরকারি লাইট ব্যবহার করা হয়, পুলিশ মোতায়েন করা হয়, পুরসভার সাফাই কর্মীদের দিয়ে পরিষ্কার করানো হয়। তাই জনগণের জানার অধিকার রয়েছে যে উৎসবের জন্য কত টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে, কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে খরচ হয়েছে এবং বাকি টাকা কোথায় গেল।
তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
তাঁরা সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, এই টাকা কোন তৃণমূল নেতার পকেটে যাচ্ছে? জনগণের কাছে এর হিসাব দিতে হবে।