পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা শহর ও আশপাশের এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি আহত হওয়ার দাবি করা হয়েছে এবং ৩০টিরও বেশি বাড়ি ভাঙচুর ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রধান তথ্য:
- সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কারণে উত্তেজনা:
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কার্তিক পূজা উদযাপনের সময় ইলেকট্রিক ডিসপ্লে বোর্ডে অশ্লীল মন্তব্য লেখা নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। - পুলিশ ও প্রশাসনের পদক্ষেপ:
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন বেলডাঙায় বিশাল পুলিশ বাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) মোতায়েন করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার সকাল ৮টা থেকে পুরো মুর্শিদাবাদ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। - আহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান:
- দুই সম্প্রদায় মিলিয়ে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
- ৩০টিরও বেশি বাড়ি ভাঙচুর ও কিছু ক্ষেত্রে আগুনে পুড়ে গেছে।
- আহতদের মধ্যে চারজন বেলডাঙার বাসিন্দাকে বহরমপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
- সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টায় একজন র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সদস্যও আহত হয়েছেন।
- সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা:
বেলডাঙার সিভিক ওয়ার্ড ১০ এলাকাকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ: একটি সংবেদনশীল জেলা
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদ জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা ৬৬.২৮%, যা রাজ্যের সর্বোচ্চ। প্রতিবেশী মালদা জেলার মুসলিম জনসংখ্যা ৫১.২৭%। এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।